×

সারাদেশ

শান্তিগঞ্জে মাছ শিকারের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৮ পিএম

শান্তিগঞ্জে মাছ শিকারের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

ছবি : ভোরের কাগজ

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ইজারাদারদের জলমহালের মাছ শিকারের মিথ্যা মামলায় উপ্তিরপাড় গ্রামের দুবাই প্রবাসী তৌহিদ মিয়া ও ১১ গ্রামবাসীসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের উপ্তিরপাড় গ্রাম সংলগ্ন মরা মহাসিং নদী জলমহালে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে উপ্তিরপাড় গ্রামের ভুক্তভোগী জমসিদ মিয়া ও সাইফুল ইসলামসহ গ্রামবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, উপ্তিরপাড় সাকিনে মরা মহাসিং নদী জলমহালটি ১৪২৫-১৪৩০ বাংলা সনের জন্য ইজারা নেয় পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন-ব্রাহ্মণ্গাঁও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি.। পরে সমিতির লোকজনের সঙ্গে মিলে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন সিন্ডিকেট হয়ে জলমহালে মাছ শিকার শুরু করে। একপর্যায়ে উপ্তিরপাড় গ্রামের পশ্চিম দিকে মরা মহাসিং নদীর একটি অংশে গ্রামের পুরুষ-মহিলা, শিশু-কিশোরেরা গোসল করাসহ পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেন। সেই অংশ ইজারাদাররা শুকিয়ে মাছ শিকার ও জোরপূর্ব দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়।

উপ্তিরপাড়ের লোকজন ইজারাদারদের মাছ ধরাতে কোনো বাঁধা না দিলেও জলমহালটি নির্বিঘ্নে শুকিয়ে মাছ শিকারের পাঁয়তারায় ইজারাদার গত বছরের ১৩ ডিসেম্ভর শান্তিগঞ্জ থানায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ নুর বাদী হয়ে উপ্তিরপাড় গ্রামের সাইফুল ইসলামসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে জলমহাল লুটপাট করে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট বলে দাবি করেন সাইফুল ইসলামসহ উপ্তিরপাড় গ্রামের অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী জমসিদ মিয়া জানান, গ্রামের পশ্চিম দিকে মরা মহাসিং নদীতে তাদের পূর্ব পুরুষ থেকে আজ পর্যন্ত ভোগ দখলে রয়েছেন, কারণ এই নদীতে গ্রামের পুরুষ মহিলা শিশু কিশোরেরা গোসল করাসহ পারিবারিক কাজে পানি সরবরাহ করে থাকেন। এমনকি গরু, ছাগলের গোসলেও এই অংশের পানি ব্যবহার করে আসছেন। উপ্তিরপাড় গ্রামের দুবাই প্রবাসী তৌহিদ মিয়াকেও মামলায় ৭ নং আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সরেজমিন জলমহালে গিয়ে জলমহালে মৎস্য আহরণের ভাগীদার শাল্লা উপজেলার সুমন্ত দাশ, উপ্তিপাড় গ্রামের ফারুক আহমদ ও উমেদনগর গ্রামের নুরুল আমিনের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা জলমহালে কোনো লুটপাট করেননি শুধু জলমহালের উপ্তিরপাড় গ্রামের পশ্চিমের অংশে মাছ শিকারে বাঁধা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইজারাদার জাবেদ নুর জানান, জলমহালে কোনো লুটপাট হয়নি, অভিযুক্তরা গ্রামের পশ্চিমের অংশে মৎস্য আহরণ করতে বাঁধা দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন মামলা করতে গিয়ে কিছু মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ আহমদ চৌধুরী জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App