×

সারাদেশ

রিকশাচালককে গুলি: ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম

রিকশাচালককে গুলি: ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হওয়া ২ আসামি। ছবি: ভোরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় যুবলীগ নেতার ভাইয়ের গুলিতে রিকশাচালক নিহতের ঘটনার প্রধান আসামি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অপর আসামী হলেন- হৃদয় হোসেন (২১)। ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও মামলার ৩ নম্বর আসামি তিনি। বিকেলে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, মামলাটি দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রাথমিক অভিযানে নামে র‍্যাব। দুপুরে উপজেলা সদরের শৈলপাড়া মহল্লা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের অপারেশন কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন, অপর আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিন চালিত নসিমন চালকের সঙ্গে এক লেগুনা চালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে কয়েকজন যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, তাদের মধ্যে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে মামুন হোসেন (২৬) নামে এক রিকশাচালক নিহত হন। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি হোসেন ও সুমন হোসেন নামে আরও দুজন আহত হন।

ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই রিকশাচালককে দাফন হয়েছে। অপরদিকে, আহতদের মধ্যে রকি হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, সুমন হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এই মামলার অভিযোগপত্রে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন প্রধান আসামি ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনকে দ্বিতীয় আসামি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App