×

জাতীয়

চলতি সংসদেই পাস হতে পারে ওষুধ আইন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:০১ পিএম

চলতি সংসদেই পাস হতে পারে ওষুধ আইন
চলতি সংসদেই পাস হতে পারে ওষুধ আইন

দীর্ঘ ৪০ বছর পর দেশে পাস হতে যাচ্ছে ওষুধ আইন। ইতোমধ্যেই নতুন আইনটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভোটিং পেয়েছে। চলতি সংসদেই এই আইন পাস হবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি ড্রাগ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সাভারের হেমায়েতপুরে লাজ ফার্মার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্য তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে আমাদের দেশে ওষুধের ফার্মেসি অনেক বেশি। দেড় লাখের মতো ফার্মেসির নিবন্ধন আমরা দিয়েছি। কিন্তু দেখা গেছে আরো এক লাখ ফার্মেসি আছে। এতেই বোঝা যায় দেশে ফার্মেসির অবস্থা কেমন। তবে এরই মধ্যে লাজ ফার্মা সুনামের সাথে কাজ করছে। একটা আদর্শ মান তারা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।

নতুন আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, মানসম্মত ও নিরাপদ ওষুধ জনগণকে সরবরাহ করা ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্ব। এত দিন আইন আমাদের হাতে ছিলো না। নতুন আইনে সেই প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। নতুন আইনে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়া অনুমতি ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ও মাদকজাতীয় যে ওষুধ তা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনের ব্যাত্যয় হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যাতে আইনটি প্রয়োগ করতে পারে সেই ক্ষমতাও নতুন এই আইনে রয়েছে। আইনটি পাস হলে নিয়ম মেনে ও মান বজায় রেখে যে সব ফার্মেসি ওষুধ বিক্রি করছে না তাদের বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হবে। এত ফার্মেসির দরকার নেই।

অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মাথাব্যাথাসহ যেকোনো কিছু হলেই অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। ইচ্ছে মত অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারছে মানুষ। এক্ষেত্রে ফার্মেসিগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এতে করে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না। বিশ্বব্যাপী সামনে যা মহামারি রূপ নেবে। আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।

লাজ ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, লাজফার্মা লিমিটেড একটি প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বাধিক বিশ্বস্ত খুচরা ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, যারা মানসম্মত ওষুধ বিক্রি করে। আমাদের মূললক্ষ্য সেবা, ব্যবসা নয়। আমরাই দেশের প্রথম সার্টিফাইড মডেল ফার্মেসি যারা নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করে।

লাজ ফার্মার চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহফুজা রহমান বলেন, সারা দেশে লাজ ফার্মার ৮০টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। এসব ব্রাঞ্চের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। কাজে যোগ দেয়ার আগে লাজ ফার্মার কর্মীরা ন্যায় নীতি অনুসরণের যে অঙ্গীকার করেছেন তা তাদের অনুসরণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সুরাম ধরে রাখতে হবে। কারোর বিরুদ্ধে যেন কোনো অনিয়মের অভিযোগ না আসে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, একুশে পদক প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ; সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত গীতিকার মো. রফিকউজ্জামান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অধ্যাপক ডা. এমএ রশিদ, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান প্রমুখ।

দীর্ঘদিন যাবত জনগণের বিশ্বস্ততা ও আস্থা অর্জন করে লাজ ফার্মা তাদের যে কাজ করে যাচ্ছে ভবিষতে তার আরো ব্যাপ্তি ঘটবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App