রিকশাচালককে গুলি: কাউন্সিলরসহ আটক ২
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আনোয়ার উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত রিকশাচালক মামুনের মায়ের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত
পাবনার ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতা আনোয়ার উদ্দিনের ছোড়া গুলিতে মামুন হোসেন (২৪) নামে এক রিকশাচালক নিহতের ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে শহরের শৈলপাড়া ও পশ্চিমটেংরি কাচারি পাড়া এলাকায়। এরই মধ্যে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ও অভিযুক্ত আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে হৃদয় হোসেনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ এসেছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে শহরের শৈলপাড়ায় তাদের বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
[caption id="attachment_396297" align="aligncenter" width="700"] নিহত রিকশাচালক মামুনের মায়ের আহাজারি। ছবি: সংগৃহীত[/caption]ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত মামুনের খালাত ভাই পারভেজ হোসেন বলেন, বুধবার রাত আটটার দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে দ্রুতগামী ভটভটি ও লেগুনা গাড়ি শহরের পশ্চিমটেংরি কড়ইতলায় থামিয়ে তাদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলে নিষেধ করে স্থানীয় দোকানিরা। একে কেন্দ্র করে দোকানি ও গাড়ি চালকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা আনোয়ার উদ্দিন ১০-১২ জন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদকারীদের ওপর চড়াও হয়। এসময় রিকশাচালক মামুন ‘কি হয়েছে’ প্রশ্ন করলে তাকে সবার সামনে পিস্তল দিয়ে গুলি করে আনোয়ার উদ্দিন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আরিফ হোসেন বলেন, নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে মামুন হোসেন ও রকি হোসেনকে সবার সামনে গুলি করে।
ওই গুলিতে মামুন ও রকি গুলিবিদ্ধ এবং ছুরিকাঘাতে আহত সুমনকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নেয়া হলে মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত অপর দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত মামুন শহরের পিয়ারাখালি এলাকার মনির হোসেনের ছেলে।