×

জাতীয়

মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৬ পিএম

মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন (বিডব্লিউএইচসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউএইচসি) চেয়ার পারসন নাসিমনু আরা হক মিনু। ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর একটি প্রধান কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত। অনিরাপদ গর্ভপাতজনিত মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য ‘মাসিক নিয়মিতকরণ’- (মেনস্ট্রুয়াল রেগুলেশন সংক্ষেপে এম. আর.) অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে শুধু নারীই না পুরুষদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউএইচসি) চেয়ার পারসন নাসিমনু আরা হক মিনু।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন (বিডব্লিউএইচসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থাটির বিগত ৪০ বছরের সফলতা এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণ অনুষ্ঠান ‘মিট দ্য প্রেস’-এ এসব কথা বলেন তিনি।

নাসিমনু আরা হক বলেন, মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অনিরাপদ এম আর। তাই একজন গর্ভবতীকে মাসিক নিয়মিতকরণের আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। মাসিক নিয়মিতকরণের ফলোআপ করা খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ। কোন জটিলতা বা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারীদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। নারীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।

সংস্থাটির ভাইস চেয়ারপারসন জাহানারা সাদেক বলেন, ১৯৯০ সালে ‘এম. আর.’ কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তখন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি বলে আজ কথা বলতে পারছি। সেই সময়ে ট্যাবু (সামজিকভাবে যেটি প্রকাশ্যে বলা মানা) ভাঙাই ছিলো চ্যালেঞ্জ। আজ অনেকটাই এগিয়েছি বলতে হবে, আমরা এখন মেয়েদের ‘মাসিক’ নিয়ে কথা বলতে পারছি। তবে এই কথা বলাতেই আমরা সীমাবদ্ধ নই। আমরা এখন কাজ করছি প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র নারীদের নিয়ে।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শরীফ হেলাল বলেন, দেশের বিভন্ন স্থানে স্যাটেলাইট স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করে বিপুল সংখ্যক জনগণকে নিরাপদ এমআর, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, শিশু স্বাস্থ্য, টিকাদান কর্মসূচিসহ সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনতে পেরেছি। এমনকি নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, বাল্য বিয়েরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তুলতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা চা শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করছি। এখন কাজ করবো চরাঞ্চলের মানুষদের নিয়ে। তাদের নিয়ে কাজ করাটা এখনো চ্যালঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে আমরা গ্রহণ করেছি ্আগামীর বাংলাদেশকে সুন্দর করবার জন্য।

১৯৮০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিডব্লিউএইচসি নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করে আসছে। এই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ কোটি ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯ জন সেবাগ্রহীতার মধ্যে এম. আর. এবং এম. আর. পরবর্তীসেবা দিয়েছে দুই লাখ ৪২ হাজার ৭৫৪ জন নারীকে, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি প্রদান করেছে ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৫ জনকে, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮৭ টিকা প্রদান করেছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৩৬৯ জনকে, মাতৃত্বকালীন সেবা দিয়েছে পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৫০২ জনকে, কাউন্সেলিং সেবা দিয়েছে এক কোটি পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১০২ জনকে। সর্বমোট সাত কোটি ৮৮ লাখ ২২ হাজার ৩৫৯ জনকে স্বাস্থ্যসেবাসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App