×

জাতীয়

ঢাবি শিক্ষার্থী খুন: ৫ আসামির যাবজ্জীবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম

ঢাবি শিক্ষার্থী খুন: ৫ আসামির যাবজ্জীবন

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে গুলি করে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: ভোরের কাগজ

দীর্ঘ ১৯ বছর আগে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করায় রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে গুলি করে হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালদ-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবদ দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবু, চায়না বাবুল ওরফে বাবুল, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, খায়রুল বাশার ওরফে খায়রুল এবং পাতলা সুমন ওরফে সুমন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্তাদের মধ্যে প্রথম দুইজন আদালতে হাজির হন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল। সংশ্লিষ্ট আদালতের সার্টলিপিকার সোহানুর রহমান এসব তথ্য জানান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ এ পড়াশোনা করতো। পাশাপাশি ব্যবসা করতো। ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকেলে ডেমরার বাসায় ঘুমাচ্ছিল। সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর ১৫/২০ মিনিট পর বিপুর বাসার কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানায়, বিপু মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিপুর খালা রোক্সনা আক্তার ও পাশ্ববর্তী সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওইদিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীর প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App