×

বিনোদন

কুয়াশামাখা শীতে ১০ম লিট ফেস্টের উদ্বোধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:২৯ পিএম

কুয়াশামাখা শীতে ১০ম লিট ফেস্টের উদ্বোধন

ছবি: ভোরের কাগজ

কুয়াশামাখা শীতে ১০ম লিট ফেস্টের উদ্বোধন
কুয়াশামাখা শীতে ১০ম লিট ফেস্টের উদ্বোধন
কুয়াশামাখা শীতে ১০ম লিট ফেস্টের উদ্বোধন
কুয়াশামাখা শীতে ১০ম লিট ফেস্টের উদ্বোধন
কুয়াশামাখা শীতে ১০ম লিট ফেস্টের উদ্বোধন

কুয়াশামাখা শীত সকালে আধ্যাত্মিক পরিবেশনা আর নৃত্যের ছন্দের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়েছে দশম লিট ফেস্ট ২০২৩। করোনা মহামারির কারণে যা দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ ছিল।

দেশি বিদেশি কবি, সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ, লেখকদের সম্মিলনে আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে মনিপুরী, ক্লাসিক্যাল, রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ঢাকা লিট ফেস্ট ২০২৩-এর উদ্বোধন করেন নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক আবদুলরাজাক গুরনাহ, ভারতীয় লেখক ও সাহিত্য সমালোচক অমিতাভ ঘোষ, বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক ড. কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায ও আহসান আকবার।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক আবদুলরাজাক গুরনাহ বলেন, আমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেছি। আমি ধারণা করছি এই আয়োজনের মাধ্যমে এমন কিছু দেখবো যা আমি জীবনেও দেখিনি। আমি মনে করি এই আয়োজনের শুরুটা বেশ চমকপ্রদ ছিল।

অমিতাভ ঘোষ বলেন, এমন একটা সাহিত্য উৎসবে এসে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি কিন্তু এক দিক দিয়ে বাংলাদেশি। আমার মায়ের বাড়ি গোপালগঞ্জ এবং বাবার বাড়ি বিক্রমপুর। আমি বাংলাদেশে বড় হয়েছি। আমি সবসময় বাংলাদেশের কথা বলি। বাংলাদেশের ভাষা খুব চমৎকার। বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষা দিন দিন আমার জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি ইতালির অভিবাসন ক্যাম্পে গিয়েছিলাম। কীভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশি পাকিস্তানিরা ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। পায়ে হেঁটে, জঙ্গলের মধ্যে থেকে, তাদের গল্পগুলো খুবই স্পর্শকাতর। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে আঞ্চলিক লিডার, জিডিপি বেশ ভালো। সুতরাং সেলিব্রেট করার অনেক কিছু আছে।

কে এম খালিদ বলেন, এই আয়োজনের সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যুক্ত ছিল। মহামারির কারণে এবার হয়তো একটু সম্পৃক্ততা কমেছে। আমি এই আয়োজনের সফলতা কামনা করছি।

কাজী আনিস আহমেদ বলেন, একজন লেখক যেমন নিভৃতে লিখেন তেমনি একজন বিজ্ঞানী আইসলেশনে কাজ করেন। এখানে যারা উপস্থিত থেকে অংশ নিচ্ছেন তারা অনেক মূল্যবান। এখানে অনেক আলোচনা, বিতর্ক এবং সৃজনশীলতার স্ফুলিঙ্গ দেখা যাবে। কী হবে, কী ঘটবে আগে থেকে ধারণা করা খুব কঠিন। আমরা যখন জানি কিছু একটা হবে, তখন আলোচনা সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা আশা করি এই নব স্ফুলিঙ্গ এখানে জেগে উঠবে। কীভাবে জানি না, তবে হবে অবশ্যই।’

তিনি বলেন, মহামারিতে আমরা অনেক প্রিয়জন হারিয়েছি। আমি তাদের স্মরণ করি।

সাদাফ সায বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই আয়োজন হয়ে আসছে। বিগত বছরগুলোতে নানা চ্যালেঞ্জ এবং বন্ধুদের সহযোগিতায় আজ আমরা এখানে। মহামারি আমাদের একে অপরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। মহামারি আমাদের শিখিয়েছে যে আমাদের একে অপরের কত প্রয়োজন। আজকে আমরা উৎসব পালন করছি এই জায়গায়। উন্মুক্ত মন আগামী চারদিন নানা আয়োজন উপভোগ করতে পারবে। আমাদের সঙ্গে বিশ্বের নামকরা লেখকরা অংশ নেওয়ায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি। তিনি আরও বলেন, মহামারি আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে নতুন করে বাঁচতে হবে।

আহসান আকবার বলেন, আমরা জানিনা আমাদের ভবিষ্যৎ কী , কিন্তু আমরা সেটি সাজাতে পারি। আগামী চারদিন ঢাকা লিট ফেস্টের আয়োজনে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখব।

ঢাকা লিট ফেস্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউন। সেই সঙ্গে প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে আছে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে থাকছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।

ঢাকা লিট ফেস্টের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে দৈনিক জনপ্রতি ৫০০ টাকা। তবে একসঙ্গে চার দিনের টিকিট নিতে চাইলে ছাড় মিলবে ৫০০ টাকা, সেক্ষেত্রে একেক জন দর্শনার্থী ১৫০০ টাকায় চারদিনের টিকিট পেয়ে যাবেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সুখবর। তারা প্রতিজন ২০০ টাকায় টিকিট কিনতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের বেলায় একসঙ্গে চার দিনের টিকিট কিনলে লাগবে ৫০০ টাকা, অর্থাৎ তাদের জন্য থাকছে ৩০০ টাকা ছাড়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App