×

সারাদেশ

আদিতমারীতে কনকনে শীতে ৫টি কম্বল বিতরণ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম

আদিতমারীতে কনকনে শীতে ৫টি কম্বল বিতরণ!

ছবি: ভোরের কাগজ

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিলে এক ওয়ার্ডে ৫টি কম্বল বিতরণ করেছেন! রবিবার (২ জানুয়ারি) রাতে কনকনে ঠান্ডায় অফিসের গাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারওয়ার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম উপজেলার দক্ষিণ বত্রিশ হাজারী গ্রামে এ কম্বল বিতরণ করেন।

এ সময় ওই এলাকার প্রায় তিনশতের ও বেশি হতদরিদ্র ও অসহায় খেটে খাওয়া দিন মজুর প্রচন্ড ঠান্ডায় গ্রামের রবিউল ইসলাম বাবুল সাংবাদিকের বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় ঠান্ডা উপেক্ষা করে একটি শীতবস্ত্র পাওয়ার আশায় দাঁড়িয়ে ছিলো। তবে তারা এলেন বটে, কিন্তুু কি নির্মম দৃশ্য, কম্বল পাওয়ার আশায় এসে কষ্ট পাওয়া মানুষগুলো শীতে কাঁপছে চোখে মুখে আনন্দ ঠান্ডাকে জয় করার আশায়। অতঃপর শীত বস্ত্র বিতরণ হলো- নাম মাত্র পেলেন ৫ জন!

বাকিরা সব কষ্ট বুকে নিয়ে ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নিজের গন্তব্যে যাচ্ছেন আর বলছেন- (ওমার গুলার আক্কেল নাই, হামাক গুলাক ডাকেয়া এই শীতোত খারা করি থুইছে। ওমরা এসি গাড়িত চরি বেড়ায়, ওমরা হামার এই গরীবের কষ্ট কি বুঝবে?) অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে অশ্রু সজ্বল নয়নে কথ গুলো বললেন কম্বল না পেয়ে ফিরে যাওয়া শীতবস্ত্রহীন খেটে খাওয়া ওই এলাকার অনেক মানুষ।

এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি আর সারওয়ারের সঙ্গে এলাকার দু-চার জন মানুষ কথা বললে তিনি সবার উদ্দেশ্য বলেন- আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়কে চাহিদা দিয়েছি। কম্বল আসলে আপনাদের এলাকায় এসে দেয়া হবে।

এখন ৫টি কম্বল দেয়া হলো, কিন্তু আপনারা তো এখানে অনেক মানুষ প্রচন্ড শীতে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে আছেন, বাবুল সাহেবকে বলেছিলাম পাঁচটি কম্বলের কথা, আর এখানে তো প্রায় অনেক মানুষ। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম বলেন- স্যার এই ৫টি কম্বল দিয়ে দেন। এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে শীত বস্ত্রহীন মানুষ আরো বাড়তে থাকবে, তার চেয়ে কে কি বলে বলুক! আমরা এই ৫টা কম্বল দিয়ে চলে যাই।

এদিকে, আদিতমারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে সরকারি বিধি মোতাবেক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এবং অনেক নেতা ও সুশীল সমাজের অনেক ব্যক্তি পিআইও অফিস মাধ্যমে কম্বল পেয়েছেন। কেউবা দুইশ, একশ কেউবা ৫০টি!

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ভাই এখন জোর যার মুল্লুক তার, যে যেভাবে পারে নিয়ে যাচ্ছে, কে কাকে কি বলবে? প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই পিআইও অফিসের এ দৃশ্য চোখে পড়ে!

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App