×

সারাদেশ

কুয়াশাচ্ছন্ন রাজশাহীতে দিনভর সূর্যের দেখা নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০০ পিএম

কুয়াশাচ্ছন্ন রাজশাহীতে দিনভর সূর্যের দেখা নেই

রাজশাহীতে দিনভর দেখা মেলেনি সূর্যের। কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় সারাদিনই ধীরগতিতে গাড়ি চলেছে। সকাল ছয়টার দিকে নগরীর রেলগেট এলাকায় এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর থেকে ছবিটি তোলা

কুয়াশাচ্ছন্ন রাজশাহীতে দিনভর সূর্যের দেখা নেই
কুয়াশাচ্ছন্ন রাজশাহীতে দিনভর সূর্যের দেখা নেই

ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়েছে রাজশাহী। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সারাদিনেও সূর্যের দেখা মেলেনি পদ্মাপাড়ের এ শহরে। এদিন জেলায় সূর্যোদয় হয় সকাল ছয়টা ৪৯ মিনিটে। আগেরদিনের তুলনায় তাপমাত্রা বাড়লেও বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভব হয়। কুয়াশার প্রভাবে সড়কে ধীরগতিতে চলাচল করছে গাড়ি।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দুপুর দুইটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রোববার ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চলতি মৌসুমের প্রথম দফার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে ডিসেম্বরেই। গত ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে যা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এরপর তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করলেও আর এতো নিচে নামেনি।

সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রাজশাহী। মানুষের চলাচল কমে আসায় রাত আটটার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় নগরের প্রধান প্রধান সড়ক। রাত যত গভীর হয় কুয়াশা ততই বাড়তে থাকে। ভোরে ঘন কুয়াশার সেই আস্তরণ যেন আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে। এর সঙ্গে বয়ে চলা উত্তরের হিমেল হাওয়া শরীরে কাঁটা দেয়। তবে ঘন কুয়াশার চাদরে প্রকৃতি ঢাকা পড়লেও জীবিকার তাগিদে সাত সকালেই বের হন শ্রমজীবী মানুষেরা। ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়। মহাসড়কের দূরপাল্লার যানবাহন চলে ধীরগতিতে। সকালে দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের নিচে নেমে আসায় সকালে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতেও দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণেই রাজশাহীতে তীব্র শীতে অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর ওপর দিয়ে কোনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না। আর কোনো কোনো সময় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাচ্ছে। তখন শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, কুয়াশা কেটে গেলেই রাজশাহীতে শুরু হবে শৈত্যপ্রবাহ। তখন রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও এক অঙ্কে নেমে আসার আশঙ্কা আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App