তদন্ত কমিটি গঠন
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানার জিএমকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।
কারখানার একটি সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সংকটে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ২০ ডিসেম্বর উৎপাদনে যায় যমুনা সার কারখানা। এরপর থেকে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথা সময়ে কাজে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে যমুনার এমডির নির্দেশে কারখানা গেটে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরা পর্যবেক্ষণ করছিলেন জিএম (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টায় কাজে যোগদানের সময় নির্ধারিত করা থাকলেও ব্যাগিং সেকশনের মাষ্টার অপারেটর ও যমুনা সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মঈন উদ্দিন সকাল ৯টায় কারখানা গেটে আসেন।
এ সময় তাকে হাজিরা খাতায় সময় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করতে বলেন জিএম (প্রশাসন)। এতে ব্যাগিং সেকশনের মাষ্টার অপারেটর মঈন উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে উঠেন। শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) নেতা হওয়ার দাপটে সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককের কাছে এ বিষয়ে নালিশ করেন।
এতে সিবিএর সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী উত্তেজিত হয়ে অন্য শ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের পাশে জটলা তৈরি করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ জটলা চলাকালে জিএম দেলোয়ার হোসেন প্রশাসনিক ভবনের নিচে নেমে আসেন। তাকে দেখে সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তারা দেলোয়ার হোসেনকে কারখানার গাড়িতে না চড়তে দিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার বিসিআইসির জিএম (পার্সেল) শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাহজাহান আলী বলেন, সোমবার কারখানা গেটে সিবিএকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন জিএম দেলোয়ার হোসেন। এ নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় জিএম (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা নিয়ে নিউজ করতেও সাংবাদিকদের নিষেধ করেন সিবিএর এ নেতারা।
এ ব্যাপারে জিএম (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কারখানার এমডির নির্দেশে দেরিতে কাজে যোগদানকারী শ্রমিক-কর্মচারীদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। আধা ঘন্টা দেরিতে কাজে যোগ দিতে আসেন মঈন উদ্দিন। এ কারণে তাকে হাজিরা খাতায় সময় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। এ নিয়ে সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে কারখানার গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঞ্ছিত করে কারখানা থেকে বের করে দেন।
যমুনা সার কারখানার (এমডি) শহীদুল্লাহ খান বলেন, ঘটনা তদন্তে বিসিআইসির জিএম (পার্সেল) শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।