চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় এক বিদেশি ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় শরীফ (২০) নামে এক তরুণকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে থানার বিআরটিসি মোড় এলাকায় তাকে আটক করেন সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম। পরে অভিযুক্তকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শরীফের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকায়। তবে তিনি নগরের বটতলী রেলস্টেশন এলাকায় ভাসমান জীবনযাপন করেন। তার বাবার নাম মো. বাহার।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী ফিলিপাইনের নাগরিক। তিনি নগরের গোলপাহাড় মোড় এলাকার এম এম আলী রোডের একটি বাসায় থাকেন। ওই ছাত্রী চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে পড়ালেখা করেন। শনিবার সকালে বান্ধবীসহ তিনি হাঁটতে বের হন। ওই বান্ধবীও ফিলিপাইনের নাগরিক এবং তারা একই ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রী কানে হেডফোন লাগিয়ে হাঁটছিলেন। তারা বিআরটিসি মোড়ে পৌঁছালে হঠাৎ অভিযুক্ত শরীফ মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোড়ে কর্তব্যরত সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম ধাওয়া করে ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করেন।

এ বিষয়ে নগর ট্রাফিক দক্ষিণ জোনে কর্মরত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বিআরটিসি মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। ঘটনাটি আমার চোখের সামনে ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে ছিনতাইকারীকে আটক করি। পরে তাকে কোতোয়ালি থানার একটি টিমের হাতে হস্তান্তর করা হয়। যদিও মোবাইলটি হালকা ভেঙে গেছে। তারপরও ছিনতাইকারী আটক হওয়ায় তারা বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম বলেন, ওই ছিনতাইকারী থানা হাজতে আছেন। এখনও মামলা হয়নি। ভুক্তভোগী বিদেশি ছাত্রী মামলা করতে ইচ্ছুক নন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।