×

জাতীয়

সরকার চায় দেশে মুক্তচিন্তা বিকশিত হোক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫৯ পিএম

সরকার চায় দেশে মুক্তচিন্তা বিকশিত হোক

শুক্রবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘ফ্যাব ফেস্ট ২০২২’র অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি : ভোরের কাগজ

সরকার চায় দেশে মুক্তচিন্তা বিকশিত হোক
সরকার চায় দেশে মুক্তচিন্তা বিকশিত হোক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার চায় দেশে মুক্তচিন্তা বিকশিত হোক। তার সরকার যেসব আইন প্রণয়ন করবে, সেখানে অবশ্যই মানুষের চিন্তা-ভাবনার স্বাধীনতা থাকবে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ফিল্ম অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ (ফ্যাব) আয়োজিত ‘ফ্যাব ফেস্ট ২০২২’ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আনিসুল হক আরো বলেন, বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আমাদের সংবিধানে দেওয়া আছে। কোনো আইন দ্বারা এ স্বাধীনতা খর্ব করা যাবে না।

সমিতির সভাপতি এ কে এম আফজাল মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, কামার আহমাদ সাইমন, পিপলু আর খান ও ব্যারিস্টার মইন গনি। পর্বটি সঞ্চালনা করেন নূর সাফা জুলহাজ।

সিনেমা কিংবা দৃশ্যশিল্পের নীতিমালা ‘সংস্কার’, বাংলা কনটেন্টের সম্ভাবনার এ সময়কে ‘নতুন করে সংজ্ঞায়িত’ করার লক্ষ্যে ভাবনা বিনিময়ের জন্য প্রথমবারের মতো ফ্যাব ফেস্টকে ‘চিন্তা লেনদেনের উৎসব’ বলছেন আয়োজকেরা।

সকাল সাড়ে ৯টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার, সাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর, চলচ্চিত্রকার মসিউদ্দিন শাকের ও মোরশেদুল ইসলাম, নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, কামার আহমাদ সাইমন, পিপলু আর খান ও ব্যারিস্টার মইন গনি।

স্বাগত বক্তব্য দেন নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ। উদ্বোধনী আয়োজনে গান পরিবেশন করেন আরমীন মুসা, তনুশ্রী দাস, রেজাউল করিম, ইউসুফ আলী খান, আহনাফ খান প্রমুখ। পর্বটি সঞ্চালনা করেন নূর সাফা জুলহাজ।

দিনভর এ আয়োজনে সকাল থেকেই প্রযোজক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, শিল্পী, লেখক, সিনেমাটোগ্রাফার কিংবা দৃশ্য-সংস্কৃতির অংশীজন, নীতিনির্ধারক ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি দেখা গেছে।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ‘গোয়িং ওয়াইল্ড, গোয়িং জেনর’ শীর্ষক আলোচনায় ছিলেন অভিনেতা ও প্রযোজক ইরেশ যাকের, নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী, নুহাশ হুমায়ূন ও মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। পর্বটি সঞ্চালনা করেন নির্মাতা তানিম নূর ও চিত্রসমালোচক সাদিয়া খালিদ রীতি।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে আলোচনা অংশ নেন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা মানজারে হাসীন মুরাদ, নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা হুমায়রা বিলকিস ও এলিজাবেথ ডি কস্তা। পর্বটি সঞ্চালনা করেন তারেক আহমেদ।

বেলা সোয়া দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ‘হাওয়া’ ও ‘পরাণ’ সিনেমা নিয়ে আলোচনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্রযোজক ইশা ইউসুফ, পরিচালক রায়হান রাফি ও প্রযোজক শিমুল চন্দ্র বিশ্বাস। পর্বটি সঞ্চালনা করেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। এরপর ‘স্টে লোকাল, গো গ্লোবাল: প্রডিউসারস পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক আলোচনায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, পরিচালক-প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন, নির্মাতা-প্রযোজক আরিফুর রহমান ও প্রযোজক আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ। পর্বটি সঞ্চালনা করেন প্রযোজক সারা আফরীনের।

বিকেল সোয়া চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ‘কনটেন্ট অ্যাজ কারেন্সি’ শীর্ষক আয়োজনে আলোচনা করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান, স্টার সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমান, চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, টফির পরিচালক আবুল মুকিত আহমেদ, শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান ও পরিচালক আশফাক নিপুণের। পর্বটি সঞ্চালনা করার কথা প্রযোজক ও গ্রের কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের।

বিকেল সোয়া পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত নব্বইয়ের দশকের আলোচিত সিনেমা ‘ঘুড্ডি’ নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন সিনেমার নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ও অভিনেত্রী লায়লা আজাদ নূপুর।

সন্ধ্যায় ছয়টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী হয়। এরপর সিনেমার নির্মাতা মোহাম্মদ কাইউম ও শিক্ষক মানস চৌধুরী প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন নির্দেশক-অভিনেতা তারিক আনাম খান।

কেন এই উৎসব তা নিয়ে আয়োজকেরা জানান, সময় এসেছে সিনেমা-ওটিটি কিংবা সব দৃশ্যশিল্পের জন্য চিন্তা নবায়নের, সব ধরনের নীতি নবায়নের এবং বিশ্বব্যাপী বাংলা কনটেন্টের যে বাজার তৈরি হয়েছে, সেখানে অবস্থান নেয়ার। যে কাজটি ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে নানা প্ল্যাটফর্মে, উৎসবে এ দেশের তরুণেরা শুরু করেছেন, সেটির পৃষ্ঠপোষকতা এখন জরুরি। গল্প বলার স্বাধীনতাকে মর্মে ধারণ করে এই উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App