আমার বাংলাদেশ (এৰি) পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আমাদের সংবিধান হচ্ছে কাজীর গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নাই। সরকার প্রতি পদে পদে সংবিধান লংঘন করছে। তাই আমরা বলেছি রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও মেরামত করতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট এতই প্রকট যে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা জাতিসংঘসহ আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া কোন গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হতে পারবে না। এতে সংবিধান কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না যেমনটা ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ তে হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন' এবং ‘দেশের মেরামত' এর দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। দলের আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রমুখ। যুগপৎ নয় বরং স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখে ঘোষিত দুই দফার ভিত্তিতে জাতীয় আন্দোলন চালিয়ে যাবে জানিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এৰি পার্টির দুই দফা নিরপেক্ষ নির্বাচন ও দেশ গড়ার রূপরেখা- আজ দেশের মানুষের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।’ এ সময় অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটাই খুৰই দুখঃজনক যে স্বাধীনতা ও বিজয়ের ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনো সত্যিকারের গনতন্ত্রের স্বাদ পাইনি। একটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচন কাঠামো গড়ে তুলতে পারিনি। রাজনৈতিক কোন অচলায়তন শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যাচ্ছে না। অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংকটও ক্রমেই ঘণীভূত হচ্ছে কিন্তু সরকার সমাধানের ব্যাপারে মোটেই আগ্রহী নয়। এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচন থেকে দেখতে পেয়েছি যে, কোন দলীয় সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের তাগাদা অনুভব করেন না। যদিও বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় তারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন বিকল্প খুঁজে পান না- এই দ্বিচারিতা জাতীয় রাজনীতিকে এক গভীর খাদের কিনারায় এনে ঠেকিয়েছে।’ এবি পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ৫১ বছরের ইতিহাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া কোনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় নাই। বর্তমান সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়েছে। তাই আমরা সর্বপ্রথম রাষ্ট্র বিনির্মাণ ও মেরামতের কথা বলেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের নেতা মন্ত্রীরা মনে করছেন ক্ষমতা হারালে তাদের লক্ষ লক্ষ লোকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এই আতংক ও ভয় থেকে তারা আরো বেশি স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ করছে। আমরা আশ্বস্ত করে বলতে চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অতীতে কখনো সন্ত্রাস নৈরাজ্য হয়নি এবারও হবে না ইনশাআল্লাহ।’