×

জাতীয়

যুদ্ধ শিশুদের স্বীকৃতির দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:২৪ পিএম

যুদ্ধ শিশুদের স্বীকৃতির দাবি

ছবি: ভোরের কাগজ

যুদ্ধ শিশুদের স্বীকৃতির দাবি

ছবি: ভোরের কাগজ

মা’কে সন্তানের অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ অভিভাবক এবং প্রতিপাল্য আইন ১৮৯০-এর ১৭ (ক) ধারা সংশোধন করে ৭১ এর য্দ্ধু শিশুদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ। এই সংগঠনের নেতারা বলেন, যুদ্ধসন্তানদের এখনো সমাজ অনাহূত মনে করে। তাদের মায়েদের পরিত্যাগ করে পরিবার ও সমাজ। রাষ্ট্রীয় আইন তাদের মর্যাদা দেয়নি। তাই তাদের আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়ার দাবি তোলেন তারা।

‘যুদ্ধ সন্তান আমাদেরই সন্তান’ ব্যানারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই দাবি তোলা হয়। রাজধানীর সংগঠনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নারীপক্ষ।

সূচনা বক্তব্যে সংগঠনের সমন্বয়কারী নূরে মাকসুরাত সেঁজুতি বলেন, যুদ্ধশিশুরা সমাজে এখনো অবহেলিত। অনেকেই জানে না তাদের মা কে। এক যুদ্ধ শিশুর তার মাকে না পেয়ে আমাকে বলেছিল, আমি জানি না আমার মা কে! তাই সকল বীরঙ্গণাই আমার মা। বাবার পরিচয় না থাকায় বিভিন্ন সময় সংকেট পড়তে হয়েছে অনেককে। যুদ্ধশিশুদের নিগ্রহ মোচনে একটি পদক্ষেপ নিতে চাই। তাই দেশের আইন সংশোধন করা জরুরি।

[caption id="attachment_394654" align="aligncenter" width="1280"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

অভিভাকত্ব আইন ও নাগিরকত্ব আইনের সংশোধনের দাবি জানিয়ে আরেক সদস্য হাবিবুননেসা বলেন, এ আইনগুলো মায়েদের পক্ষের নয়। যুদ্ধ শিশুদের জারজ সন্তান বলা হয়, যার ইংরেজি বাস্টার্ড। এমন একটা শব্দ আইনে থাকা উচিত না। শুধুমাত্র যুদ্ধশিশু না, যৌনপল্লিতে জন্ম নেয়া শিশুরাও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নারী কখনো তার সন্তানের পরিচয় দিতে পারে না বাংলাদেশি হিসেবে। নারীর অভিভাবকত্ব পেতে হলে কোর্টে যেতে হবে। এখানে পুরুষ অভিভাবক হলেও নারী জিম্মাদার হিসেবে কাজ করে। একজন মায়ের জন্য ‘জিম্মাদার’ শব্দটি সত্যিই অপমানের। বিবাহবিচ্ছেদের পর আদালত অভিভাবকত্ব দেন না, দেন জিম্মাদারি।

যদি মায়ের নামে সন্তানের পরিচয়ের আইন করা হয় তখন এ জটিলতা থাকবে না জানিয়ে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য শিরীন হক বলেন, যুদ্ধশিশুদের বাবার নাম মিথ্যা দেয়া হয় অথবা বলা হয় মৃত। সেক্ষেত্রে মৃত বাবার নাম লিখতে হয়। এটা তো মিথ্যা। মিথ্যা দিয়ে তো রাষ্ট্র চলতে পারে না।

এছাড়া বক্তব্য দেন নারীপক্ষের সদস্য আলী হোসেন, সীমাদাস সীমু, বাংলাদেশ দুর্বার নেটওয়ার্কের সভাপতি মাহমুদা খাতুন, নারীবাদ প্রবর্তনার সাধারণ সম্পাদক সাইদা আক্তার প্রমুখ। সভায় সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছিল ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নারীবাদ প্রবর্তনা, দুর্বার নেটওয়ার্ক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App