×

জাতীয়

পিছিয়ে যাচ্ছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম

পিছিয়ে যাচ্ছে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে নসরুল হামিদ। ছবি : সংগৃহীত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট আগামী বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসছে না। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ পেতে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বা ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, করোনা মহামারির কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এতে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ সময়মতো শেষ করা যায়নি। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজও শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে সব কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। কোনো অসুবিধা হবে না। প্রথম ইউনিটের কাজ ৮৭ শতাংশ শেষ হয়েছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে আমেরিকার অবরোধের মুখে কাজের ব্যাঘাত ঘটবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।

রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকল্পের পরিচালক মো. শৌকত আকবর বলেন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে সাংবাদিকদের সামনে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে একটু নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলেক্সান্দার দেইরি। এতে বলা হয়, জার্মান কোম্পানি সিমেন্স এজি রূপপুরের উপকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসার সময় পিছিয়ে যাওয়া ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরমাণু শক্তি কমিশন। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নির্মাণ করছে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট। খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এখন পর্যন্ত রূপপুর প্রকল্পের ব্যয় বা মেয়াদ—কোনোটাই বাড়াতে হয়নি। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App