×

মুক্তচিন্তা

চিনিকলের দূষণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:১১ এএম

চিনিকলের দূষণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি

ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ঢাকনাবিহীন চিমনি পথে নির্গত কালো ছাইয়ে মিল এলাকার প্রায় ৫ কিলোমিটারজুড়ে পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার লোকজন। প্রতি মৌসুমে আখ মাড়াই শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী মিলের নির্গত এই ছাই নিয়ে চরম ভোগান্তিতে ভোগেন। প্রতি মৌসুমে আখ মাড়াই শুরু হওয়ার পর শুরু হয় চিনিকলের ঢাকনাবিহীন চিমনি পথে মিলের ধোঁয়ার সঙ্গে কালো ছাই নির্গত হয়। প্রায় ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার লোকজনের বাড়িঘরের সর্বত্র ছাইয়ের স্তর জমে যায়। বাগানের বা বাড়ির ফলদ গাছের ডগায় ছাইয়ের স্তর জমে থাকায় আম, লিচুর মুকুল আসতে বিলম্ব ঘটে। এ ছাড়া বাড়ি, ঘরের দরজা-জানালা লাগিয়ে না রাখলে ঘরের ভেতরের সবকিছু কালো ছাই দিয়ে নোংরা হয়ে যায়। এ ছাড়া চিনিকলের ছাই লোকজন ও পশুপাখির চোখে পড়ে বিড়ম্বনার সৃৃষ্টি করে। ছাই মানুষের চোখে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। এত বড় সমস্যা জানা সত্ত্বেও চিনিকল কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর নির্বিকার রয়েছেন। কাপড় ধুয়ে রোদে দেয়া যায় না। মিলের ছাই পড়ে কালো হয়ে যায়। রান্না করা ভাত-তরকারি নষ্ট হয়ে যায়। যে কয়েক মাস চিনিকল চালু থাকে, ততদিন ঘরের জানালা খুলতে পারি না। জানালা খুলে রাখলেই বিছানায় ছাই পড়ে কালো হয়ে যায়। পথে চোখে ছাই পড়ে। চিনিকলের ছাইয়ের জন্য বাইক চালানো খুব কষ্টের। কখন যে চোখে ছাই পড়ে তার ঠিক নেই। এই সমস্যা সুগার মিল যতদিন চলবে ততদিনই থাকবে। ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ১৮০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন এবং ৯ ফুট ব্যাসের চিমনির ঢাকনাটি কয়েক বছর আগে কর্তৃপক্ষ খুলে নেয়। এরপর থেকেই চিমনিটি খোলা অবস্থাতেই রয়েছে। কবে আবার চিমনির ঢাকনা মেরামত হবে তা কারো জানা নেই। এত সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও কী কারণে কর্তৃপক্ষ ছাই ছড়ানো বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করছে না তা কারো বোধগম্য নয়।

সৈয়দ আশিকুজ্জামান আশিক : গবেষণা সহকারী, সিআরআইডি, ঢাকা। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App