×

জাতীয়

যেভাবে টিকিট কাটবেন মেট্রোরেলের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৫৬ পিএম

যেভাবে টিকিট কাটবেন মেট্রোরেলের

ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে আগামী ২৬ মার্চ থে‌কে চল‌বে মে‌ট্রো‌রেল। সে‌দিন থে‌কে সব স্টেশনে থে‌মে যাত্রী তুল‌বে। এর আগ পর্যন্ত উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল মাঝখানের কোনো স্টেশনে থামবে না।

শুরুর দিকে দিনে চার ঘণ্টা চলবে মেট্রোরেল। ছলবে সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড। মেট্রোরেলে যাতায়াতে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের এমআরটি পাস, অন্যটি দিয়ে চড়া যাবে একবার।

ডিএমটিসিএল জানায়, শুরুতে কেবল মেট্রোরেল স্টেশনের কাউন্টার থেকে নির্দিষ্ট জামানত দিলে মিলবে এমআরটি পাস। আর একবারের যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) জন্য টিকিট মিলবে স্টেশনে থাকা কাউন্টার এবং পাশের স্বয়ংক্রিয় টিকিট মেশিন থেকে। যাত্রা শেষে নির্ধারিত মেশিনে টিকিট কার্ডটি ফেরত দিলে তবেই স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন যাত্রীরা।

এমআরটি পাস সংগ্রহের পর নিয়মিত যাতায়াতের জন্য কাউন্টারের পাশাপাশি টিকিট মেশিন, মোবাইল ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেও টপ-আপ করা যাবে। প্রতিটি স্টেশনের দুই প্রান্তে দুটি কাউন্টার এবং চার থেকে ছয়টি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রয় মেশিন আছে।

ডিএমটিসিএল আরও জানায়, এমআরটি পাস থেকে দূরত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেয়া হবে। যাত্রীরা যে কোনো সময় এমআরটি পাস ফেরত দিয়ে জামানতের অর্থ ও অব্যবহৃত টাকা ফেরত নিতে পারবেন। আর পাসটি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে রেজিস্টার্ড কার্ডের বাহক নতুন এমআরটি পাস সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অব্যবহৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন এমআরটি পাসে স্থানান্তরিত হবে। টিকিট অফিস মেশিন বা টিওএম অপারেটরকে অবহিত করে হারানো পাসটির অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করা যাবে।

স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে টিকিট কাটতে করণীয়

আপনি যদি একবার ট্রেনে চেপে যেতে চান, সেক্ষেত্রে স্টেশনের দোতলায় থাকা মেশিনে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে নিজেই টিকিট কাটতে পারবেন। এ মেশিনের টাচ স্ক্রিন প্যানেল ব্যবহার করা যাবে স্মার্ট ফোনের মতোই। শুরুতে ভাষা নির্বাচন করে মেশিনের বাঁ পাশের উপর দিকে থাকা একক যাত্রা টিকিট অপশনে ক্লিক করতে হবে। তখন আপনি যে স্টেশনে অবস্থান করছেন, সেটি সবুজ রঙে স্ক্রিনে দেখাবে।

এরপর আপনাকে গন্তব্যের স্টেশনের নাম নির্বাচন করতে হবে। তখন স্ক্রিনের ডান পাশে ভেসে উঠবে ভাড়ার পরিমাণ। আপনাকে স্ক্রিনের নিচের দিকের অপশন থেকে টিকিটের সংখ্যা নির্বাচন করতে হবে। একজন যাত্রী একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট কিনতে পারবেন। টিকিটের সংখ্যা নির্দিষ্ট হওয়ার পর ওকে বোতাম চাপলে মেশিনের নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা প্রবেশ করানোর নির্দেশনা আসবে স্ক্রিনে। নির্ধারিত জায়গায় টাকা প্রবেশ করালে কত টাকা দিলেন সেই তথ্য উঠতে থাকবে স্ক্রিনে।

নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়ার টাকা যদি আপনি প্রবেশ করান, তাহলে স্ক্রিনের নিচের বাঁ দিকের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বেরিয়ে আসবে একক যাত্রার টিকিট। আর আপনি যদি কিছু টাকা ফেরত পান, সেটাও বেরিয়ে আসবে নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে। টিকিট কাটার সময় স্ক্রিনে দেখানো হবে, আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়ার জন্য আপনি কত টাকা পর্যন্ত ব্যাংক নোট মেশিনে প্রবেশ করাতে পারবেন। কম ভাড়ার জন্য একেবারে বড় নোট প্রবেশ করানো যাবে না।

হাতে ভাংতি না থাকায় বা বড় নোটের কারণে টিকিট কাটতে না পারলে ঘাবড়ে যাওয়ার কারণ নেই; চলে যান টিকিট কাউন্টারে। বাংলাদেশে চালু সব ব্যাংক নোটই গ্রহণ করবে টিকিট বিক্রয় মেশিন। তবে বেশি পুরনো ও ছেঁড়া নোট মেশিন নেবে না।

মেট্রোরেলের ভাড়া

মেট্রোরেলের ভাড়ার তালিকা গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হয়। তালিকা অনুসারে, মেট্রোরেলে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। উত্তরা নর্থ স্টেশন (দিয়াবাড়ী) থেকে আগারগাঁওয়ের ভাড়া ৬০ টাকা। কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া ১০০ টাকা। স্মার্ট কার্ডে ভাড়া পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন যাত্রীরা। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App