×

মুক্তচিন্তা

বিএনপির হঠাৎ রাষ্ট্র মেরামতের ইচ্ছা হলো কেন?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:২৮ এএম

বাংলাদেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের একটি বিএনপি বা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় পৌঁছেছিলেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। তিনি সরাসরি বঙ্গবন্ধুর ঘাতক দলে ছিলেন না, তবে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ারি তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে উর্দি পরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার রেকর্ড তার। ক্ষমতায় বসে ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন। ক্ষমতার ভিত্তি মজবুত করার জন্য গঠন করেছিলেন বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল। জিয়ার মৃত্যুর পরও বিএনপি টিকে আছে এবং বলা যায় দাপটের সঙ্গেই আছে। জিয়া-পতœী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায়ও থেকেছে। এখনো রাষ্ট্রক্ষমতার দাবিদার এই দলটি, যদিও প্রায় ১৬ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে আছে। নিজেদের পছন্দমতো পদ্ধতিতে নির্বাচন করার জেদ দলটিকে পেয়ে বসায় এই দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনের পর দেশে একবার বিএনপি, একবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার একটি ধারা চালু হওয়ার বাস্তবতা দেশে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির ভুল রাজনীতি ও একগুঁয়ে কৌশলের কারণে সেই ধারা আর স্থায়ী না হয়ে এখন উল্টো এক দলের দীর্ঘমেয়াদি শাসনের পথ সুগম হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ আর কোনোদিন ক্ষমতায় ফিরবে না বলে জোর গলায় প্রচার করা হলেও সেই আওয়ামী লীগ এখন টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটাও একটি রেকর্ড। টানা এত বছর আর কোনো দল বা ব্যক্তির পক্ষে শাসনক্ষমতায় থাকা সম্ভব হয়নি। কেউ কেউ এই গীত গেয়ে থাকেন, আওয়ামী লীগ যে টানা ক্ষমতায় আছে, এটা মানুষের ভোটাধিকার হরণ করার কারণেই সম্ভব হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আছে বলে দাবি করা হলেও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচনকে আসলে নির্বাচন বলা যায় না। যদি তর্কের খাতিরে এটা ধরেও নিই যে দুটি নির্বাচন পুরোপুরি সুষ্ঠু হয়নি, সব মানুষ ভোট দিতে পারেনি, তবুও এ দুটি কিন্তু নির্বাচনই ছিল। ত্রæটিপূর্ণ নির্বাচন গণতান্ত্রিক ধারণায় সঙ্গে শতভাগ না গেলেও তাকে তো আর বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখল বলা যায় না! এক নির্বাচনে বিএনপি ভোটে যায়নি, আরেক নির্বাচনে ভোটে গিয়েও প্রতিযোগিতায় ছিল না। সব আসনে সব মানুষ ভোট দিতে না পারলেও দুই নির্বাচনের ফলই দেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। কারণ ‘সুষ্ঠু’ ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার পর কেমন শাসন উপহার দেয়া হয়, সেটা মানুষের অভিজ্ঞতায় আছে। তাই আওয়ামী লীগ ত্রæটিপূর্ণ নির্বাচনে ক্ষমতায় গিয়েও টানা দেশ শাসন করতে পারছে। দেশে সুষ্ঠু ভোট হলে মানুষ শঙ্কামুক্ত পরিবেশে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে এবং নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় ফিরবে না বলে দেশে একটি জোর প্রচারণা আছে। মানুষ তাহলে কাকে ভোট দেবে- এই প্রশ্নের জবাব কি কেউ স্পষ্ট করে দিতে পারেন? বিএনপি যদি ভোটে জেতে তাহলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা কি বিএনপি স্পষ্ট করে সবার কাছে বলতে পারছে। নির্বাচনী রাজনীতিতে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপির প্রধান দুই নেতা- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত, তারা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তার আইনি ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা কি বিএনপি ও তার মিত্ররা মানুষের সামনে দিতে পারছে? মানুষ শেখ হাসিনার বিকল্প দেখেন না বলেই বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন হালে পানি পায় না। তাছাড়া সরকার বদলের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পথ হলো নির্বাচন। অথচ দেশে নির্বাচন এলেই বিএনপি নানা টালবাহানা শুরু করে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যদি বিএনপির চেয়ে বেশি দুর্বল হতো তাহলে হয়তো বিএনপির শর্তে বা পছন্দের ব্যবস্থায় নির্বাচন হলেও হতে পারত। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো বিএনপির চেয়ে কম জনসমর্থনপুষ্ট দল নয়। তাহলে বিএনপি যা চাইবে তা আওয়ামী লীগ কেন মানবে। যেহেতু প্রায় সমশক্তির দুটি দল পরস্পরের প্রতিদ্ব›দ্বী, সেহেতু দুই দলকে একটি সমঝোতায় এসেই নির্বাচন করতে হবে। সমঝোতার বিষয়টি বিএনপির রাজনৈতিক অভিধানে নেই। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি গোঁ ধরেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা যাবে না। তাই তারা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করতে চায়। এজন্য বৃহত্তর ঐক্য থেকে শুরু করে কত ঐক্যের কথাই না তারা বলছে। বিএনপির সর্বশেষ অবস্থান হলো দলটি এবার ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ নামে ২৭ দফার একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই ২৭ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে ‘মেরামত’ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির এই রাষ্ট্র মেরামত কর্মসূচি নিয়ে অনেক কথা আছে। আসল কথা হলো, বিএনপি কোনো কিছু ‘মেরামত’ করার মতো দল কিনা। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা রাষ্ট্রকে মেরামত করেছে, না তছনছ করেছে? ক্ষমতায় গিয়ে ১০০ দিনের কর্মসূচির নামে কিছু চটকদার বক্তব্য দিয়েও বিএনপি কি তা বাস্তবায়ন করেছিল? এরপরও ক্ষমতায় গিয়ে তারা কথা রাখবে সেটা কীভাবে বিশ্বাস করা হবে? তাছাড়া ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আগে প্রয়োজন রাষ্ট্রক্ষমতা। রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এবং সদিচ্ছা থাকলে রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়টি বিবেচনা করা সম্ভব। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় যাবে এই নিশ্চয়তা তাদের কে দিয়েছে? বিএনপির যেভাবে ঘন ঘন দফা পরিবর্তন করছে তাতে তো তাদের দফা নিয়েই মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই তো বিএনপি নেতাদের মুখে সরকার পতনের এক দফার কথাই উচ্চারিত হয়েছে। সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই এতদিন দলটির লক্ষ্য শোনা গিয়েছিল। অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। সেই ১০ দফার সুরাহা হওয়ার আগেই তারা হাজির হয়েছে- ২৭ দফা নিয়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি এখন কোন দফায় গুরুত্ব দেবে- ১ দফায়, ১০ দফায়, নাকি ২৭ দফায়? ২৭ দফার মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন, অন্তর্ভুক্তিমূলক রেইনবো নেশন (Rainbow-Nation), নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য, দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্ব পালন না করা, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন, জুডিসিয়াল কমিশন, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন, দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, ন্যায়পাল নিয়োগ, মানবাধিকার বাস্তবায়ন, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন, ধর্ম পালনের অধিকার, ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত, সব কালাকানুন বাতিলসহ আরো বেশকিছু দাবি এবং প্রতিশ্রæতি রয়েছে। এসব দাবি নিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার বা পরিবর্তন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্র, আদর্শ এবং নেতাকর্মীদের লালিত বিশ্বাসেই পরিবর্তন আনতে হবে। রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য ত্যাগী, দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর প্রয়োজন হয়, যারা দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং অভিজ্ঞতায় পোড়খাওয়া অধ্যায় অতিক্রম করে তবেই রাষ্ট্র নির্মাণের জটিলতম কাজে হাত দিতে পারেন। কিন্তু যারা ২৭ দফা উত্থাপন করেছেন, রাষ্ট্র মেরামত করার রাজনৈতিক দক্ষতা ও সৃজনশীলতা তাদের রয়েছে কি? ‘দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না’ বলে ২৭ দফায় যা উল্লেখ আছে সেটা খুব ভালো কথা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, খালেদা জিয়াকে বিএনপি কি আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাবছে না? কয়েকদিন আগেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের দল ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়াই পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হবেন। বিএনপি কি চায় তা কি সত্যি এই দলের নেতারা ভেবেচিন্তে বলছেন? বিএনপির এই রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্টান্টবাজি ও হাস্যকর হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এতে আন্দোলন জমবে না, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। অন্যদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমাদের প্রশাসন ধ্বংস হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে। পুরো দেশ একটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় সংস্কার খুব জরুরি।’ তবে তিনি মনে করেন, এই সংস্কার একার পক্ষে করা অসম্ভব। এজন্য দরকার রাজনৈতিক সমঝোতা। সমঝোতা না হলে রূপরেখা বাস্তবায়ন নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের ঐকমত্যে আসতে হবে বলেও তিনি মনে করেন। এই ঐকমত্যের ভিত্তি হিসেবে কি রেইনবো নেশন বা রংধনু জাতির কথা বলা হয়েছে? দক্ষিণ আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটু এবং নেলসন ম্যান্ডেলার প্রবর্তিত ধারণাকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা কতটা বাস্তবতা সম্মত? বর্ণবাদী ব্যবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য রংধনু জাতিতত্ত্ব দক্ষিণ আফ্রিকায়ও সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিকে চাপিয়ে দেয়া আরোপিত কোনো ধারণা দিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী বানানো সম্ভব নয়। বিশপ ডেসমন্ড টুটু বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসন শেষ হলে দেশে সবাই নিরাপদে বসবাস করতে পারবে; দেশটা হবে রংধনুর মতো। সব মত-পথ ও বর্ণের মানুষ একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করবে দক্ষিণ আফ্রিকা বর্ণবাদমুক্ত হলে। দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা ডেসমন্ড টুটুর এই মতবাদ গ্রহণ করেন। এই দেশটিতে ১১টি জাতীয় ভাষা; চারটি উপজাতি; আছে তিনটি রাজধানী। এত বছর পর দেশটি আইনশৃঙ্খলার সূচকে ১৩৭তম। এর চেয়ে খারাপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আছে আরো ছয়টি দেশে। গড়ে প্রতিদিন ৫৭ জন মানুষ দেশটিতে খুন হয়। বিএনপি কি বাংলাদেশকে এই রকম রংধনু দেশ বানাতে চায়? বিএনপি কি এমন দেশ চায়, যেখানে খুনির দল জামায়াত, তালেবানি মন্ত্রে দীক্ষিত হেফাজত, জাতির পিতাকে হত্যা করার পর যে জেনারেল ক্ষমতা দখল করেছিলেন তার দল, আওয়ামী লীগ পরিত্যক্ত ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন ওয়ানম্যান পার্টির মতো দল ও ব্যক্তিদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক সার্কাসের আয়োজন করা হবে? ২৭ দফায় আওয়ামী লীগের আমলে করা সংবিধানের সব সংশোধনী বাতিল করার কথা আছে। তাহলে কি আবার ইনডেমনিটি আইন ফিরে আসবে বা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাতিল করা হবে? অন্যদিকে ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের যে কথা বলা হয়েছে তা কি করে সম্ভব? এর মানে কি আগে যা ঘটেছে, সব ভুলে নতুন করে শুরু করতে হবে? একাত্তর ভুলে যেতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ ভুলে যেতে হবে? পঁচাত্তরে একটি হত্যাকাণ্ড হয়েছিল বা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, সব ভুলতে হবে? ২৭ দফায় আরো আছে, গত ১৫ বছরের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। তার আগের দুর্নীতির কী হবে? বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা চেপে যেতে হবে? খালেদা জিয়ার পুত্র কোকোর পাচার হওয়া ২২ কোটি ডলার দেশে ফিরিয়ে আনার ঘটনা? বিএনপির এসব দফারফা কাণ্ড দেখে কেউ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন ছুড়তেই পারেন, ‘পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছো?’ বিভুরঞ্জন সরকার : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App