×

সম্পাদকীয়

নতুন করোনা সংক্রমণ : এখনই সতর্ক হতে হবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:২৮ এএম

চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরনে সংক্রমণ বাড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ধরন প্রতিরোধে বাংলাদেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং বাড়াতে গত ২৪ ডিসেম্বর লিখিত চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এখনো বন্দরগুলোতে সেভাবে নজরদারি বাড়েনি। সব বন্দরে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। গত তিনদিনে মাত্র চারজনকে আইসোলেশনে এবং ৭৫ জনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। বিদেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঘটনার পর অবশ্যই বাংলাদেশকে সতর্ক হতে হবে এখন থেকেই। পাশাপাশি দেশের জনগণের দায় রয়েছে। ভারত, চীনে করোনা নতুন করে সংক্রমণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে অবশ্যই উদ্বেগ বাড়াবে। ভারত ও চীনের সঙ্গে অবাধ যোগাযোগ থাকায় বাংলাদেশ উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাছাড়া ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি তার সংস্পর্শে আসা ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। ফলে এটি অতিসংক্রামক। শনাক্ত করাও কঠিন। তাই সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসায় সব হাসপাতালকে এখনই যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। জানা যায়, করোনার আগের সংক্রমণের সময় রাজধানীতে ৫টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে আলাদা ইউনিট ছিল। পরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সেগুলোতে সাধারণ রোগীর সেবা চালু হয়। ফলে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইসিইউ, এইচডিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাক্সবন্দি করা হয়েছে। শুধু মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল রোগীদের সেবার জন্য কিছুটা প্রস্তুত হয়েছে। বাকিগুলোর অবস্থা করুণ। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতাল চালুর বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির দেশে করোনার মতো দীর্ঘস্থায়ী মহামারি মোকাবিলা করা সহজ কাজ নয়। একদিকে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, অন্যদিকে জীবিকা রক্ষার চেষ্টা করা- সব মিলিয়ে যে কোনো সরকারের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এরপরও আমরা বড় ট্র্যাজেডি এড়াতে পেরেছি। কারণ অনেক দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা এ পর্যন্ত সংক্রমণ মোকাবিলায় অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি টিকা নেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। করোনার সংক্রমণ কমে গেলে আমাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে যে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। ভাইরাসটি নিয়ে বেশি আতঙ্কিত না হয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। বিশ্বের আক্রান্ত অন্যান্য জায়গা থেকেও যারা আসবে তাদের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনোভাবেই স্ক্রিনিং ছাড়া যেন আক্রান্ত দেশের কোনো ব্যক্তি দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী এখনো টিকার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। সবাইকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App