×

মুক্তচিন্তা

তারুণ্যের প্রত্যাশা ও নতুন বছর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:২৭ এএম

আরো একটি বছর প্রায় শেষ হতে চলেছে। ২০২২ পেরিয়ে ২০২৩ সাল চলে আসছে। অনেক প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, হাসি-কান্নার মাধ্যমে বছরটির সমাপ্ত হবে। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে নতুন বছর মানেই নতুন কিছু। নতুন উদ্যমে শুরু করা। সব মিলিয়ে বলা যায়, সোনার বাংলাকে এগিয়ে নিতে তারুণ্যের অনেক স্বপ্ন। নতুন বছর নিয়ে ভাবতে গেলে সব সময় দেশের জন্য ভালো কিছুই তরুণরা ভাবতে চেষ্টা করে। ২০২২ সালের সব ভুল-ভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমরা পেতে চাই একটি সুন্দর, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তাই বছরের শুরুতেই প্রয়োজন সুন্দর পরিকল্পনা। আর এই পরিকল্পনায় রাখতে হবে সবাইকে। একপেশে পরিকল্পনা করা আর না করা একই। দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, ধনী- সবার জন্য পরিকল্পনা করতে হবে সমানভাবে। নতুন বছরে সবার প্রত্যাশাগুলো যেন প্রাপ্তিতে সমাপ্ত হয়, সেটা মাথায় রেখে কাজ শুরু করতে হবে। তরুণদের প্রত্যাশাকে যদি গুরুত্ব দেয়া না হয়, তবে দেশও এগোবে না। একটা সুন্দর, সাজানো-গোছানো দেশ তৈরিতে অবশ্যই তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম। তরুণদের নিয়ে সোনার বাংলা সাজাতে হবে। দেশের উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই তরুণদের সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। সেই সঙ্গে বেকার তরুণ যুবকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে নতুন বছরে। এবারের নতুন বছরটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে নতুন স্বপ্নের সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি বেয়ে এগোতে হবে সবার। একটা দেশের মূল চালিকাশক্তি এবং ভবিষ্যৎ হচ্ছে তরুণরাই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম সফল হতে চায়। এজন্য তারুণ্যের স্বপ্নগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে সবার। তারুণ্যের চাওয়াগুলো নিয়ে যদি কথা বলতে হয়, তবে প্রথমেই উঠে আসবে বেকারত্ব। এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় হতাশা আর দুঃখের কারণ হচ্ছে বেকারত্ব। বাংলাদেশে যত সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। বেশি অবাক হতে হয় তখন, যখন আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকার অধিক। বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ থাকলেও বাস্তবে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ বেকার ছেলেমেয়ে রয়েছে সে পরিমাণ এখনো কর্মসংস্থান নেই। এটি আমাদের জন্য বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেকারত্ব দূর করতে হলে সর্বপ্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এটাই এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে তারা চলে যাচ্ছে ধ্বংসের পথে। তাদের এই ধ্বংসের পথ থেকে সরিয়ে আনার জন্য অবশ্যই বেকারত্ব দূর করতে হবে। পড়াশোনা শেষ করে যদি একজন শিক্ষিত ছেলে তার যোগ্যতানুসারে একটি চাকরি না পায়, তবে সে ছেলেটি দেশের জন্য বোঝা হবে তো বটেই অনেক সময় দেশের জন্য ক্ষতিকর হয়েও দাঁড়াবে। দেশের প্রতিটি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে বেকার যুবকদের। বেকারত্ব দূর করার জন্য আমাদের সবার এক হতে হবে। সরকার এবং দেশের বিত্তবানদের এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দিতে হবে। বেকার যুবসমাজ পাচ্ছে না কোনো চাকরি, মেটাতে পারছে না পরিবারের চাহিদা। বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে অবৈধ পথে। চলে যাচ্ছে ধ্বংসের পথে। এখন কর্মসংস্থানে দুর্নীতি মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েছে। তাই সরকার এবং প্রশাসনের প্রয়োজন এই বিষয়টিও তাদের নজরে রাখা। এছাড়া আমাদের দেশে আজ খেলার মাঠের বড় সংকট। একটি শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে জরুরি তা হচ্ছে খেলাধুলা। এছাড়া খেলাধুলা তরুণ এবং যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখে। কিন্তু সারাদেশে খেলার মাঠ যেন দিন দিন কমে যাচ্ছে। খালি কোনো জায়গা নেই, যেখানে বাচ্চারা একটু খেলবে এবং দৌড়াবে। এখন তরুণ ছেলেরাও খেলার জন্য মাঠ খুঁজে পায় না। মাঠ আছে শুধু জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য। কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য তৈরি হতে যে আগে খেলতে হয়, সেটা আমরা অনেকেই ভুলে গেছি। তারুণ্যের চাওয়া এবং প্রত্যাশাগুলো যেন প্রাপ্তি দিয়ে পূরণ হয়, তবেই দেশ এবং দেশের মানুষ উপকৃত হবে। মনে রাখতে হবে, একটি দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছাতে চাইলে সে দেশের তরুণ সমাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাধান্য দিতে হবে তারুণ্যের মতামতকে। তবেই সোনার বাংলা গড়তে পারব আমরা। আজহার মাহমুদ আকবরশাহ, চট্টগ্রাম। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App