আশাশুনি সড়কের দু-পাশে শত শত মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪০ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
সাতক্ষীরার-আশাশুনি সড়কের দু-পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হতে চলেছে। সামান্য ঝড় বাতাসে এসব গাছ ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে শিক্ষার্থী, পথচারী ও যানবাহন। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগেই এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ভালুকা চাঁদপুর, সাত্তারের মিল, কোমরপুর, কুল্যার মোড় বাকা সড়কের কাদাকাটি, বুধহাটা শোভনালী সড়কে, গোয়ালডাঙ্গা বড়দল সড়কের দু-পাশে দাঁড়িয়ে আছে শত শত মৃত-অর্ধমৃত ও শুকিয়ে যাওয়া গাছ। শিশু প্রজাতির এসব বড় গাছ মারা গেছে অনেকদিন আগে। এসব মরা গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়ে ভেঙে পড়ছে সড়কের ওপর। আর এতে দুর্ঘটনায় পড়ছে শিক্ষার্থী, পথচারী ও যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন। যেকোনো সময় গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। বিশেষ করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন মরণ ফাঁদ। মরা গাছের কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটায় আগেই এসব গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মনির হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কটি খুবই ব্যস্ততম একটি সড়ক। সড়কের দুই পাশে মরা গাছের কারণে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। তিনি দ্রুত সময়ে গাছগুলো কেটে নেয়ার দাবি জানান।
কাদাকাটি গ্রামের সুমন হোসেন বলেন, সড়কে অনেকদিন হয় শত শত গাছ মরে গেছে, এখন এসব গাছ ও ডালপালা যখন তখন ভেঙে সড়কের ওপর পড়ছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এসব গাছ কেটে নেওয়া উচিত।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ১ মাহফুজা আক্তার রুবি ও জেলা পরিষদের সদস্য (আশাশুনি-৬) মো. আব্দুল হাকিম বলেন, সড়কের দুই ধারে মরা গাছগুলো খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ১২ তারিখের মিটিং এ কথা বলেছি। সম্মিলিতভাবে দ্রুত সময়ে মরা গাছগুলো কেটে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।