×

জাতীয়

‘বিএফ-৭’: ঝুঁকিতে টিকা না নেয়া ব্যক্তিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:১৭ এএম

চীনে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘বিএফ-৭’ এর প্রভাবে ফের সংক্রমণ তীব্র আকার পেয়েছে। এছাড়া, ভারতে আক্রান্তের হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ‘বিএফ-৭’, যা ‘বিএ-৫’ এর একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট। ভাইরাসটি একজন থেকে ১৮ জনের শরীরে সংক্রমিত করতে পারে। তার মানে অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এটি চারগুণ বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এটির উপসর্গ ওমিক্রনের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো। তবে এর ভয়াবহতা এখনো জানা যায়নি।

যারা টিকা নেননি তাদের মধ্যে এই সংক্রমণের হার অনেক বেশি জানিয়ে ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, যাদের ডায়াবেটিস (বহুমূত্র), উচ্চরক্তচাপ, গর্ভবতী নারী, ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এর মধ্যে ভারতেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাই সবাইকে করোনা টিকা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, শনিবার কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে পরামর্শে উঠে এসেছে, ষাটোর্ধ্ব ও করোনার সম্মুখযোদ্ধা, গর্ভবতী নারীদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নিতে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য। কো-মর্বিডিটি (একাধিক অসুখ এবং জটিলতা) মানুষকে সব সময় মাস্ক পরিধান ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

স্থল বন্দর, বিমান-বন্দর থেকে শুরু করে সব জায়গায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে তাদের আইসোলেট করা অথবা নির্দেশনা দেয়া।

আরো পড়ুন: দেশের বন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং বাড়ানোর নির্দেশ

ওই অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App