×

সাহিত্য

ঢাবিতে নন ফিকশন বইমেলা শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩৭ পিএম

ঢাবিতে নন ফিকশন বইমেলা শুরু

সোমবার সকালে বিজনেস স্টাডিজ প্রাঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনদিনব্যাপী ষষ্ঠ নন ফিকশন বইমেলার উদ্বোধন করেন। ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও বণিক বার্তার যৌথ উদ্যোগে তিনদিনব্যাপী ষষ্ঠ নন ফিকশন বইমেলা শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজনেস স্টাডিজ প্রাঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন।

বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অধ্যাপক আব্দুল মঈনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, অনুপম প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী মিলন নাথ, সময় প্রকাশনের স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।

বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং বিভিন্ন প্রকাশনা ও গবেষণা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নন-ফিকশন হচ্ছে বাস্তব তথ্যমূলক বই। অন্যদিকে, ফিকশন হচ্ছে নানা ধরনের কল্পনাপ্রসূত বই। কল্পনাপ্রসূত বই নিঃসন্দেহে মানুষের সৃষ্টিশীলতা বিকাশে ভূমিকা রাখে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তথ্যবহুল নন ফিকশন বই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে আমরা এই বই পড়তে উৎসাহ দেই শিক্ষার্থীদের। এখন হলের রিডিংরুম বলেন বা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বলেন আমরা শিক্ষার্থীদের জায়গা দিতে পারছি না, এর মানে হচ্ছে তারা সেখানে বসে বই পড়ছে। আগেকার দিনের সেই বংশ পরম্পরায় নোট নির্ভরতা কমে গিয়েছে। লাইব্রেরিতে কী ধরনের বই তারা পড়ছে, তা নিয়ে হয়তো সমালোচনা থাকবে। তবে এটি সত্য তারা সেখানে লাইব্রেরির বই এবং টেক্সট বই ব্যবহার করছে। টেক্সট বই ও রিকমন্ডেড বইগুলো তথ্যবহুল নন-ফিকশন বই। আমরা শিক্ষার্থীদের ফিকশনাল বই পড়তে উৎসাহিত করি কারণ সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গের সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর জন্য নানা ধরনের বই পড়া খুবই জরুরি। পাশাপাশি টেক্সট এবং রিকমেন্ডেড বই সব সময় তথ্যবহুল। এই দুই বিষয়ের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় যদি নজর দিতে পারে তবে সৃজনশীল ও একাডেমিক কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করার সুযোগ হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, আজকের এই নন ফিকশন বইমেলা শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের একেবারে দোরগোড়ায় বই নিয়ে যাওয়ার একটি উদ্যোগ। এটি একটি ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত হয়েছে এখন। আস্তে আস্তে এটা জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং নানা শ্রেণিপেশার মানুষকে উপকৃত করবে। এই নন ফিকশন বইমেলা যখন শুরু হয়েছিল তখন সবাই বলেছিল এটি আবার কী? এখন এটি একটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান হিসেবে ব্র্যান্ডিং হয়ে গেছে এবং সামনের দিনগুলোতে হয়তো এটি আমাদের ক্যালেন্ডার ইভেন্টে পরিণত হতে পারে। কিছুদিন আগে আমরা গবেষণা-প্রকাশনা মেলার আয়োজন করেছি। নন-ফিকশন বইমেলা গবেষণা প্রকাশনা মেলার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। কারণ গবেষণার পূর্বশর্ত হলো এই ধরনের তথ্যভিত্তিক বই পর্যালোচনা করা। সে কারণে গবেষণা প্রকাশনা মেলা অর্থবহ করতেই এই ধরনের নন-ফিকশন বইমেলা আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ নন ফিকশন বইমেলায় দেশের ৩৯টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছে। মেলায় সব বইয়ে ৩০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর বইমেলা শেষ হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App