×

জাতীয়

চ্যালেঞ্জ সামলাতেই পুরনোতে আস্থা শেখ হাসিনার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:১২ এএম

চ্যালেঞ্জ সামলাতেই পুরনোতে আস্থা শেখ হাসিনার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, সম্মেলন হলেই যে নেতৃত্বের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। সম্মেলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের যে কমিটিগুলো আছে, সেগুলোকে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আনা হয়ে থাকে। আমরা দেখলাম, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সম্মেলনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হয়তো বড় পরিবর্তন করা হয়নি। কিছু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। গতকাল রবিবার টেলিফোনে ভোরের কাগজকে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারেও নেতৃত্বে আছেন। তিনি আগামী নির্বাচন, চলমান বৈশ্বিক সংকট ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নানা ধরনের তৎপরতা সঠিকভাবে মোকাবিলার যে ধরনের টিম দরকার বলে মনে করেছেন অর্থাৎ বিগত তিন বছর যাদেরকে নিয়ে তিনি কাজ করেছেন, তাদেরই আবারো কাজে লাগাবেন। সেজন্য আগের কমিটিকেই বহাল রেখেছেন। তবে কিছু কিছু সংযোজন-বিয়োজন তিনি করেছেন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি কাউন্সিলরদের এটিও আভাস দিয়েছেন যে, আগামী সম্মেলনে দলে নতুন নেতৃত্ব আসবে। এ ব্যাপারে তিনি কাউন্সিলরদের জানিয়ে রেখেছেন।

তিনি বলেন, ২২তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যে কমিটি হয়েছে, সেখানে বড় ধরনের পরিবর্তন করা হয়নি। তবে যারা কমিটিতে এসেছেন তারা সবাই কাউন্সিলরদের সমর্থন নিয়ে নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন। আমি আশা করব, নতুন নেতৃত্ব জনগনের সঙ্গে আরো বেশি সম্পৃক্ত হবেন। তারা সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সভাপতিমণ্ডলীর তিন সদস্য, ১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের সার্বিক কার্যক্রম অনুযায়ী-ই এই পরিবর্তন এসেছে। এটা প্রতি সম্মেলনেই হয়ে থাকে। এবারও কিছু বাদ গেছে। কাউকে না কাউকে তো বাদ দিতেই হয়, আবার তাদের স্থলে নতুন করে নেতৃত্ব আনা হয়। এটা একটা দলের প্রয়োজনে, দলের সম্মেলনে হয়েই থাকে।

তবে আওয়ামী লীগের ভেতরে যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে সেটা স্পষ্ট। কারণ এই দলটি প্রতি তিন বছর পরপর নিয়মিত সম্মেলন করে আসছে। বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে যারা এক দশকের ওপরে চলে যায় কমিটির মেয়াদ অথচ তারা সম্মেলন করে না। সেদিক থেকে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ভেতরের একটা গণতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App