×

খেলা

রোমাঞ্চের অপেক্ষায় ঢাকা টেস্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:২২ এএম

রোমাঞ্চের অপেক্ষায় ঢাকা টেস্ট

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট-বল হাতে দুর্দান্ত লড়াই করেছে টাইগাররা। স্বল্প পুঁজি নিয়েই সাদা পোশাকে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে জয়ের স্বপ্ন দেখছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টানটান উত্তেজনায় গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দুদল। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ১০০ রান। আর বাংলাদেশের দরকার ৬ উইকেট। গতকাল ১৪৫ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ফেলেন টাইগার স্পিনাররা।

মাত্র ৪৫ রানের মধ্যে তুলে নিয়েছেন সফরকারীদের ৪ উইকেট। দিনের শেষে সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। উইকেটে আছেন অক্ষর প্যাটেল (২৬) ও জয়দেব উনাদকাট (৩)। এরপর স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেবল ঋষভ পন্ত, শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন আছেন। যাই হোক, আজ তাদের দ্রুত সাজঘরে ফেরাতে সক্ষম হলেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত।

এছাড়া প্রথম সেশনে হতাশার পর দ্বিতীয় সেশনে লিটন দাসের ব্যাটে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তিনি এক প্রান্ত আগলে রেখে গতকাল তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তার ব্যাটে লড়াই করার মতো লিডের পথে এগোছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চা বিরতির পরেই পা হড়কান লিটন। তিনি মোহাম্মদ সিরাজের বলে ব্যক্তিগত ৭৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। খাদের কিনারায় লড়াই করেও লিটনের আক্ষেপ রয়ে গেল। টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন তিনি।

গতকাল চতুর্থ দিন ১৫৯ রানেই ৭ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। সেইসঙ্গে শঙ্কা হাতছানি দিয়ে ডাকছিল ২০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার। লিটন এমন সময় খাদের কিনারায় একপ্রান্ত আগলে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে লড়াকু এক জুটি গড়েন। তারা দুজন মিলে ৭৬ বলে ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। কিন্তু সিরাজের দারুণ এক সুইংয়ে পা হড়কান লিটন। তিনি আউট হওয়ার পর আর বেশিদূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ব্যাটার খালেদ আহমেদ রানআউট হয়েছেন ৪ রান করে। তাসকিন অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০.২ ওভারে ২৩১ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ফলে মিরপুর টেস্টে ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রান। জবাবে রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিব টার্নে পরাস্ত করেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে। ব্যাটে ছোঁয়া লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।

এরপর ভারত শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণি ডেলিভারি কিছুটা সামনে এসে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। বল ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সোহান। ৬ রানে থামেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ। একই রকমভাবে মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন শুবমান গিল। এবার দুর্দান্ত ভঙ্গিতে স্ট্যাম্প ভাঙেন সোহান। বিরাট কোহলি ছিলেন সবচেয়ে বড় বাধা। শেষ বিকালে তার উইকেটটিও তুলে নেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। কোহলি ডিফেন্ড করেন, ক্যাচ চলে যায় শর্ট লেগে মুমিনুলের কাছে। কোহলি ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

এছাড়া ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ৮৭ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনের শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে টাইগাররা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শান্ত। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ এক ডেলিভারি মুমিনুলের ব্যাট ছুঁয়ে চলে গেছে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্তের হাতে। মুমিনুলও করেন ৫। সাকিব ৩৬ বলে ১৩ করে আউট হন।

মুশফিকুর রহিমও দলের হাল ধরতে পারেননি। ৯ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন অক্ষর প্যাটেলের স্পিনে। ৪ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এরপর টানা দ্বিতীয় টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস বেরিয়ে আসে জাকির হাসানের ব্যাট থেকে। তবে ফিফটি পূরণ করার পরই যেন দায়িত্বটা ভুলে গেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। উমেশ যাদবের যে ডেলিভারিটি চাইলেই ছেড়ে দিতে পারতেন জাকির, সেটি বাতাসে ভাসিয়ে খেলে দিলেন বাউন্ডারির দিকে। ডিপ থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ নিলেন সিরাজ। ১৩৫ বলে জাকিরের ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি।

এছাড়া ঋষভ পন্ত আর শ্রেয়াস আইয়ারের ১৬৫ রানের এক জুটিতে ভর করে ভারত প্রথম ইনিংসে থামে ৩১৪ রানে। পান্ত ৯৩ আর আইয়ার করেন ৮৭ রান। মুমিনুল হকের ৮৪ রানে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২২৭।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App