×

জাতীয়

মির্জা ফখরুলের বাসায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:২৭ পিএম

মির্জা ফখরুলের বাসায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল রবিবার রাতে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার বাসায় যান। এসময় ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে দেখা করেন তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

মির্জা ফখরুলের বাসায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ
মির্জা ফখরুলের বাসায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ

বিএনপির মহাসচিব কারাবন্দী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় গিয়ে তার সহধর্মিণীকে সহমর্মিতা জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতারা।

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি মহাসচিবের উত্তরার বাসায় যান। ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে দেখা করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন তারা।

আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল, রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, কৃষিবিদ ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, ড. মামুন অর রশিদ, প্রফেসর আবু জাফর খান, ড. ইমতিয়াজ খান, ডা. আমিনুল বারি কানন, ডা. সোহেল আহমেদ, ড. ইদ্রিস আলী, ব্যারিস্টার আবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার কাজী সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার ওমর ফারুক, সাংবাদিক রিয়েল রোমান, তানভীরুল হাসান খান, কল্লোল প্রমুখ।

এসময় সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি জামিন পাওয়ার অধিকারী। সেই হিসেবে জামিন পাওয়ার যোগ্য মির্জা ফখরুল। তাছাড়া বর্তমানে যে অভিযোগে তিনি কারাগারে রয়েছেন, প্রায় একই রকমের ৯০টি মামলায় এর আগে তিনি জামিন পেয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক কারণে তার জামিন প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। এতে আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে।

তিনি আরো বলেন, মির্জা ফখরুল দেশের একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের ঠিক আগের দিন তাকে গ্রেপ্তার এবং বারবার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করায় জনমনে এই ধারণাই প্রবল হচ্ছে- তার বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

জাহিদ হোসেন বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশের একজন মার্জিত রাজনীতিক। এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছেন তিনি। তার বয়স এখন ৭৬ বছর। তিনি নানান জটিল রোগে ভুগছেন। তার বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে ৯২টি মামলাদেয়া হয়েছে। এসব মামলা ডাহা মিথ্যা। একই ধরনের সব মামলায় জামিন পেলেও নতুন মামলায় কেনো তার জামিন হচ্ছে না, তা বুঝতে কারো বাকি নেই।

সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সামাজিক অবস্থান, বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় মির্জা ফখরুল জামিন পাওয়ার যোগ্য। জামিন না দিয়ে ন্যায়বিচার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। জামিন না দেওয়া এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতায় পরিণত হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে বোঝা যায়, বিচারব্যবস্থা অচল এবং এর পরিবর্তন আবশ্যক। আদালতকে তার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিচারপ্রার্থী কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হন, তা বিবেচনা করতে হবে। মামলার এজাহারে যার নাম নেই, সুনির্দিষ্টভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও নেই। তারপরও তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এটা কি একটা মগের মুল্লুক? অভিযোগ আনলেই হয় না। অভিযোগের সম্পৃক্ততাও আদালতে প্রমাণ করতে হবে। সম্পৃক্ততা থাকলে আদালত তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিতে পারেন। রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতার কারণে জামিন না দেওয়াটা কাঙ্ক্ষিত নয়। এভাবে বিচারব্যবস্থা চলতে পারে না। প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। নয়তো আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, আইনগতভাবে মির্জা ফখরুল জামিন পাওয়ার যোগ্য। শুধু রাজনৈতিক কারণেই তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। মির্জা ফখরুল একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের মহাসচিব। বোমাও মারেননি তিনি, তার কাছে বোমা পাওয়াও যায়নি।

ফখরুলকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেখানে এজাহারে তার নাম নেই। মামলার এজাহারে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ নেই। এজাহারে যাদের নাম ছিলো, তাদের মধ্যে দুজন জামিনে গেছেন। একই আদালত মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নাকচ করছেন। এখানে মনে হয়, নিম্ন আদালত হয়তো স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছেন না। বয়স ও রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিতে পারতেন তাকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App