×

সারাদেশ

৯ কবরের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪২ পিএম

৯ কবরের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত

ছবি : সংগৃহীত

আজ অভিযান-১০ লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হলো। তবে এই ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলেও এখনও ৯টি কবরে থাকা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। যাদের শনাক্ত হয়েছে তাদের স্বজনেরাও পাননি তেমন কোনো সহায়তা।

এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে মধ্যরাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়।

বরগুনা জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের ১৯ জনের মরদেহ ওই দিনই হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। শনাক্ত না হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় ২৪ মরদেহ দাফন করা হয়েছিল বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী গণকবরে। পরে স্বজনদের মধ্যে ৪৮ জনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ১৪ মরদেহের পরিচয় মেলে। তবে এখনও পরিচয় মেলেনি নয় মরদেহের। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের তালিকায় এখনও নিখোঁজের সংখ্যা ৩০ এবং সাত মরদেহের হদিস আজও মেলেনি।

যাদের মরদেহ শনাক্ত হয়েছে তাদের বেশিরভাগের পরিবারই উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তেমন কোনো সহায়তাও তারা পাননি।

নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছোট টেংরা গ্রামের ফজিলা আক্তার পপির মা আমেনা বেগম বলেন, বাবা-মা বেঁচে থাকতে সন্তান মারা গেলে এর থেকে কষ্টের কিছু থাকতে পারে না। আমরা কিছু চাই না, শুধু আমার মেয়ের কবরটা চাই। আমরা বেঁচে থাকতে এই আশা পূরণ হবে কি না জানি না।

বরগুনা সদর উপজেলার পরীরখাল এলাকার রাজিয়া সুলতানার বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, এক বছর হয়ে গেছে মায়ের মুখ দেখি না। এখন তো আর মরদেহ পাওয়ারও সম্ভাবনা নেই। মায়ের কবর বা একটা হাড্ডিও যদি পেতাম তাহলেও বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করতাম।

এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিখোঁজ ৩০ যাত্রীর মধ্যে ১৪ জন শনাক্ত হয়েছে। আমরা ওই পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তার জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর লঞ্চে আগুনের ঘটনায় অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও অজ্ঞাতপরিচয়দের নামে বরগুনার মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন আইনজীবী নাজমুল ইসলাম নাসির। এছাড়া নৌ আদালতে আলাদাভাবে মামলা করেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান।

ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলা ঢাকার নৌ আদালতে চলমান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমি মামলাটি তদন্ত করেছি। আলামতও জব্দ করেছি। আদালতের নির্দেশে পোড়া লঞ্চটি মালিক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে করা এক মামলায় জামিনে রয়েছেন অভিযান-১০ এর মালিক হামজালাল শেখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App