×

খেলা

র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১ ধাপ এগোল মরক্কো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪০ পিএম

র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১ ধাপ এগোল মরক্কো

ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপে একের পর চমক দেখিয়েছে মরক্কো। প্রথম আফ্রিকার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার কৃতিত্ব গড়েছে দেশটি। এর পুরস্কারস্বরূপ ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয়েছে আশরাফ হামিকির দলের। কাতার বিশ্বকাপের পর গতকাল র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ফুটবল বিশ্বের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যেখানে ১৪২ পয়েন্ট অর্জন করে ১১ ধাপ এগিয়ে মরক্কো উঠে এসেছে ১১তম স্থানে।

এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিলেও ঠিকই শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ব্রাজিল। ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয়া ফ্রান্স জায়গা করে নিয়েছে তিনে। দুইয়ে থেকে বিশ্বকাপ শুরু করা বেলজিয়াম গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় হয়ে পিছিয়েছে দুই ধাপ। চারে রয়েছে তারা। পাঁচে থেকে কাতার বিশ্বকাপে আসা ইংল্যান্ডের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে লম্বা লাফ দিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে বিদায় করা ক্রোয়েশিয়া। পাঁচ ধাপ এগিয়ে সাতে জায়গা করে নিয়েছে তারা। বিশ্বকাপে চমৎকার খেলে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয়া অস্ট্রেলিয়াও এগিয়েছে ১১ ধাপ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয়া দলটি রয়েছে ২৭তম স্থানে। দারুণ খেলা ক্যামেরুনও এগিয়েছে। দশ ধাপ উন্নতিতে তারা অবস্থান করছে ৩৩তম স্থানে। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চমক দেখানো সৌদি আরব এগিয়েছে দুই ধাপ। রয়েছে ৪৯তম স্থানে।

১৯৭০ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে প্রথম খেলা মরক্কোকে এর পরের বিশ্বকাপ খেলতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৯৮৬ পর্যন্ত। মেক্সিকোতেই আরেক বিশ্বকাপে আফ্রিকার অন্যতম প্রতিনিধিরা খেলেছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে। এরপর ১৯৯৪, ১৯৯৮ তে চূড়ান্তপর্বে খেললেও গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।

আটানব্বইয়ের পর দীর্ঘ একটা বিরতি। ২০০২, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪-চারটি বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে আসতে পারেনি তারা। রাশিয়ায় ২০১৮ সালে ভালো খেলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে না পারাটা ছিল মরক্কোর জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এবার অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই সেমিফাইনালে উঠে তারা। মরক্কোর এই সাফল্য জাতীয় দল নিয়ে নির্দিষ্ট ও সুদূরপ্রসারী ভাবনারই ফসল বলছেন বিশ্লেষকেরা।

মরক্কান জাতীয় ফুটবল দল কয়েক বছর ধরেই সুনির্দিষ্ট একটি নীতিমালা নিয়ে এগিয়েছে। ইউরোপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা, ইউরোপের মাটিতে জন্ম নেয়া মরক্কান প্রতিভাদের এক সুতায় গাঁথাই হচ্ছে সেই নীতিমালা। এবারের মরক্কান দলের ২৬ জনের স্কোয়াডে ১৪ জনই ইউরোপ বা বিদেশের মাটিতে জন্ম নেয়া ফুটবলার। এরাই মরক্কোকে হাঁটিয়েছেন অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পথে। স্পেনের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে টাইব্রেকার ঠেকানো গোলকিপার ইয়াসিন বোনোর জন্ম কানাডায়। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা, ফুটবলার হয়ে ওঠা।

এবারের বিশ্বকাপে তিনি গোল খেয়েছেন মাত্র একটি। স্পেনের মাদ্রিদে জন্ম নেয়া পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমি, দলের বড় তারকাই। নেদারল্যান্ডসে জন্ম নিয়ে মরক্কান জাতীয় দলে খেলতে এসেছেন সোফিয়ান আমরাবাত। তিনি মধ্যমাঠে দলের প্রাণশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। লেফট উইংয়ের ফ্রান্সে জন্ম নেয়া সোফিফান বুফাল দলের আক্রমণের অন্যতম চালিকা শক্তি। আরেক তারকা হাকিম জিয়াশও নেদারল্যান্ডসে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। চেলসির এই তারকার নেদারল্যান্ডসের কমলা জার্সি পরারই কথা ছিল। সাবেক কোচ রোনাল্ড কোমানের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নেন মাতৃভূমির লাল-সবুজ জার্সি। সোফিফান আমরাবাতের গল্পটাও একই। তারও খেলার কথা ছিল নেদারল্যান্ডস দলেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App