×

সাহিত্য

নার্গিস পলির ‘দ্য ওয়ালস অব পান্স অ্যান্ড অ্যাপোস্ট্রফিস’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:১৪ পিএম

নার্গিস পলির ‘দ্য ওয়ালস অব পান্স অ্যান্ড অ্যাপোস্ট্রফিস’

শুক্রবার বিকেলে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও ড. আদনান মোরশেদ যৌথভাবে শিল্পী নার্গিস পলির ‘দ্য ওয়ালস অব পান্স অ্যান্ড অ্যাপোস্ট্রফিস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ছবি: ভোরের কাগজ

নার্গিস পলির ‘দ্য ওয়ালস অব পান্স অ্যান্ড অ্যাপোস্ট্রফিস’
নার্গিস পলির ‘দ্য ওয়ালস অব পান্স অ্যান্ড অ্যাপোস্ট্রফিস’

নার্গিস পলি একজন মাল্টিডিসিপ্লিনারি ভিজ্যুয়াল শিল্পী। যিনি মূলত ড্রইং, পেইন্টিং ও ইন্সটলেশন আর্টের (শিল্প) সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষে তিনি শিল্পযাত্রা শুরু করেন এবং নিজের শৈল্পিক ভাষা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। পলি বিশ্বাস করেন, একজন শিল্পী হওয়া কঠিন কাজ, তাই তিনি অভিজ্ঞতা, চেষ্টা ও ত্রুটির মাধ্যমে শেখা শুরু করেন। তিনি আরও বিশ্বাস করেন মানুষ নিজেই তার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। ২০১৭ সালে তার প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায়। এই শিল্প ভ্রমণের ধারাবাহিকতায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হলো শিল্পী নার্গিস পলির ‘দ্য ওয়ালস অব পান্স অ্যান্ড অ্যাপোস্ট্রফিস’ শীর্ষক প্রদর্শনীর।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও ড. আদনান মোরশেদ যৌথভাবে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন।

প্রদর্শনীতে শিল্পী তুলে ধরেছেন, মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জীবন গঠন করতে এবং অমরত্বের অনুসন্ধান করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। পৃথিবীকে শাসন করতে করতে নিজেদের তখন তারাই ঈশ্বর বলে ভাবতে শুরু করে। এ বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করা সত্ত্বেও ঈশ্বররূপী মানুষেরা ভীষণ রকম অসুখী এবং আত্মসচেতনহীন। ঈশ্বরে পরিণত হওয়া মানুষ এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের সুখের অন্তরায় হয়ে উঠছে। যদিও আমরা একই পৃথিবীতে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বাস করি তবুও আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সীমানা নির্বিশেষে একইভাবে সুখ এবং বেদনা সহ্য করি। গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিশ্বজুড়ে অনেক দুর্ভাগা মানুষের জীবনকে দুর্দশায় পরিণত করেছে। প্রতিটি জীবনই গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু আমাদের স্রষ্টা একই এবং প্রতিটি জীবনের উপরে সমান জোর দেওয়ার সময় এসেছে। মানুষের লোভ দূর করতে আমাদের ফেরেশতা দরকার। আমাদের ফেরেশতাদের স্বর্গ থেকে আসার প্রয়োজন নেই, আমাদের ফেরেশতারা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের মধ্যেই বিরাজমান থাকতে পারে। সেই ফেরেশতারা মানুষরূপী ঈশ্বর নয়, প্রকৃত মানুষ।

এই প্রদর্শনী চলবে ৩১ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত। সোমবার থেকে শনিবার বিকাল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত প্রদর্শনীর দরজা সবার জন্য খোলা থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App