×

জাতীয়

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে এবারও চমক দেখবে জাতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৫৫ পিএম

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে এবারও চমক দেখবে জাতি

পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বরাবরের মতো এবারও ঐতিহাসিক নান্দনিকতা ও চমক ফুটে উঠবে বলে মনে করছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যক্ষ মো. মহিববুর রহমান।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিল সম্পর্কে ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মূল্যায়ন করেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের প্রচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে নান্দনিক রাজনীতির রূপকার। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ঐতিহ্য এবং নান্দনিকতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ধরে রাখা, লালন করা এটাও আওয়ামী লীগের একটা ঐতিহ্য।

মহিববুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের পরতে পরতে নিরেট দেশপ্রেম এবং মাটি ও মানুষের কথা বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও আদর্শ ধারণ এবং লালন করেই পরিচালিত হয়।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর তরুণ এবং প্রবীণের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে। এবারের ২২তম কাউন্সিলেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে মনে করি। প্রবীণ নেতারা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে আর তরুণ নেতারা সেই নেতৃত্ব বাস্তবায়ন করে এটাই আওয়ামী লীগ। এছাড়াও সরকার এবং দলকে আলাদা রাখার একটা দৃশ্যমান চেষ্টা থাকে সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে মনে হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে পটুয়াখালীর এই নেতা বলেন, জাতির পিতা পরিবারের অনেক সদস্য এখনো সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হয়নি। তারা আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতেও নেই এবং নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন না। তাদেরকে যদি এবারের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কমিটিতে আনা হয় তাহলে দেশবাসী অনেক খুশি হবে। বাংলার মানুষের দীর্ঘ দিনের লালিত মনের আশা পূরণ হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী পরিবারের তরুণ প্রজন্মকে কমিটিতে যুক্ত করা হয় তাহলে তারুণ্য নির্ভর একটা চমৎকার কমিটি হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমনটা চায়। তিনি বরাবর দেশ গড়ার কাজে তরুণ প্রজন্মকেই পচ্ছন্দ করেন।

নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩০ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমশিনের বেধে দেয়া বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু কোনো দলই তা এখনো পূরণ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ প্রায় কাছাকাছি আছে। আর একটু হলেই পূরণ করতে পারবে। আওয়ামী লীগের সহযোগী একাধিক নারী সংগঠন আছে। সেখানে যোগ্য নেতৃত্বের কোনো অভাব নেই। সেসব সংগঠন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীদের যুক্ত করে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব। আশাকরা যায়, এবারের কাউন্সিলের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি পাবে।

কেন্দ্রীয় কমিটির পরিধি বৃদ্ধি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের যেমন সবচেয়ে পুরনো ঐতিহ্যবাহী দল। ঠিক তেমনিভাবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে জাতীয় যোগ্য নেতার কোনো অভাব নেই। অসংখ্য জাতীয় নেতা আছেন আওয়ামী লীগে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটি মাত্র ৮১ সদস্য বিশিষ্ট। তাই সবাইকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটির পরিধি আরো একটু বড় হতে পারে। কেন্দ্রীয় কমিটি যদি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট বা কিছুটা বড় হয় তাহলে আরো কিছু নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্ত হয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ পাবে। গোটা দেশ এক বছর ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছে এ উপলক্ষেও এবারের কাউন্সিল থেকে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট হতে পারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এক কথায় যদি বলি, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বরাবরের মতো এবারও চমক দেখতে পাবে জাতি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App