×

জাতীয়

সরকারি ব্যবস্থায় রোমানিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৩৫ এএম

সরকারি ব্যবস্থায় রোমানিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০২ কর্মীর ভিসা পাওয়া গেলেও প্রথম ধাপে ১৫ জন করে দুই দিনে যাচ্ছেন ৩০ জন। আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর এসব কর্মী দেশটির উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হবেন।

গতকাল সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে রোমানিয়াগামীদের জন্য প্রাক-বহির্গমন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লোয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)।

অনুষ্ঠানে বোয়েসেল জানায়, রোমানিয়ার সুমনা স্পোটর্স ওয়ার, ইউরোপা ফ্যাশনস লিমিটেড এবং সংস্থাটির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে এসব কর্মী দেশটিতে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩১২ জন কর্মীর চাহিদাপত্র পেয়েছে বোয়েসেল। এদের মধ্যে ১০২ কর্মীর ভিসা পাওয়া গেছে এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণব্যুরোর (বিএমইটি) স্মার্ট কার্ড শেষ করা হয়েছে। বাকিদের ভিসা প্রক্রিয়াধীন।

বিএমইটি বলছে, দুই বছর মেয়াদে এসব কর্মী রোমানিয়াতে স্যুইং মেশিন অপারেট, কাটিং অপারেটর, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পদ অনুযায়ী কর্মী সর্বনি¤œ ৪০০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বেতন পাবেন। তাদের আবাসন, খাবার, চিকিৎসা খরচ কোম্পানি বহন করবে। চাকরির মেয়াদ দুই বছর হলেও কর্মীরা চুক্তি নবায়ন করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, কর্মীদের বিমানভাড়া, ইউরোপা ফ্যাশনের সার্ভিস চার্জ, বোয়েসেলের সার্ভিস চার্জ তথা ভারত থেকে ভিসার ব্যবস্থাসহ মোট খরচ পড়বে ২ লাখ ৩১ হাজার ২৪০ টাকা। এসব খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে। কর্মীপ্রতি জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা বোয়েসেলে জমা থাকবে এবং শ্রম চুক্তি শেষে কর্মীরা জামানত ফেরত পাবে। এছাড়া ইউরোপা ফ্যাশন লিমিটেড তাদের সার্ভিস চার্জের শতকরা ১০ ভাগে বোয়েসেলে জামানত রাখবে এবং কর্মীর চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর তা ফেরত পাবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, বোয়েসেলের মাধ্যমে রোমানিয়াসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি বিদেশগমনেচ্ছু কর্মীদেরও দেশের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ ও কাজে মনোযোগী হয়ে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।

রোমানিয়া যেতে কর্মীদের যে খরচ ধরা হয়েছে, তা থেকে আরো কীভাবে কমানো যায় তা দেখার জন্য বোয়েসেলসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান মন্ত্রী। তিনি বলেন, মোটা যে অংকের কথা বলা হচ্ছে, সেখান থেকে কিছুটা কমিয়ে আনতে পারলে কর্মীরা সুবিধা পাবে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, রোমানিয়ায় আমাদের ৫ হাজার কর্মী গেছেন। কর্মীরা যাচ্ছে এটা খুশির সংবাদ। তবে একটা শঙ্কা আছে, ওখানে না থাকা। কর্মীদের কারণে আমরা রোমানিয়ার ধমক খেয়েছি। এ রকম হতে থাকলে নতুন কর্মীর চাহিদা আসবে না।

এ সময় সচিব কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা অন্যত্র চলে যাবেন তাদের পাসপোর্ট বাতিলসহ আমাদের যা যা ব্যবস্থা নেয়ার আমরা নেব। আমাদের কাছে দেশ বড়। দালালের কথায় কেউ রোমানিয়া থেকে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেউ ভুল পথে পা দেবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App