×

সারাদেশ

আবারও মিলনের ডিগবাজি, জাতীয় পার্টির প্রত্যাখ্যান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৫০ পিএম

আবারও মিলনের ডিগবাজি, জাতীয় পার্টির প্রত্যাখ্যান

ছবি: ভোরের কাগজ

মহাজোটের শরিকদল বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন আবারও ডিগবাজি দিয়ে জাতীয় পার্টির নেতা দাবি করেছেন। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে তার নিজ বাসভবনে জাতীয় পার্টিতে যোগদানোত্তর গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন বলে জানান।

তবে কিভাবে, কোথায় যোগদান করেছেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে মিলন বলেন, আমি রওশন এরশাদের সাথে দেখা করে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছি। তবে তিনি যোগদানের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় পার্টির দায়িত্বশীল পদে থাকা নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চন্নুর সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গোলাম সারোয়ার মিলন নামে কেউ জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেননি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নানের প্রার্থীতা চুড়ান্ত। মিলন দলে আসলেও তাকে কোনো শর্ত দিয়ে নেয়া হবে না।

গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম সারোয়ার মিলন বিকল্পধারা থেকে কুলা প্রতীকে প্রার্থী হন। ভোটের ৫ দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মমতাজ বেগমকে সমর্থন দেন তিনি। দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর চলতি বছরের ১৩ জুলাই তিনি বিকল্পধারা ছাড়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মিলন জাতীয় পার্টির নেতা দাবি করায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা জানিয়েছেন, বার বার দল বদল করা নীতিহীন নেতা দিয়ে দলের ভালো কিছু আশা করা যায় না।

সিংগাইর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুস সালাম বলেন, গোলাম সারোয়ার মিলন ফুল দিয়ে রওশন এরশাদের সাথে দেখা করেছেন শুনেছি। তবে আমার জানা মতে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেননি। প্রসঙ্গত, গোলাম সারোয়ার মিলন জাতীয় পাটির শাসনামলে অধুনালুপ্ত মানিকগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী হন। তিনি কয়েকবার দল বদলের কারণে তার নিজস্ব ভোট ব্যাংকে ধস নামে। বিএনপির শাসনামলে প্রয়াত শিল্পমন্ত্রী সামসুল ইসলাম খানের (নয়া মিয়া) মৃত্যুর পর ক্ষমতাসীন ওই দলে যোগদানের চেষ্টায় ব্যর্থ হন মিলন।

পরবর্তীতে বিগত ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তার ভোটের অংক দাঁড়ায় মাত্র ৮ হাজারে। পূনরায় তিনি জাতীয় পাটিতে যোগদান করে মহাজোট থেকে মানিকগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন পান।

এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের দাবির মুখে রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ পদত্যাগ করলে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার ক্ষমতায় আসেন। তখন গোলাম সারোয়ার মিলন জাতীয় পার্টি বাদ দিয়ে ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টিতে (পিডিপি) যোগ দেন। সেই সময় বিভিন্ন চ্যানেলের টক-শোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। বঞ্চিত হন জাতীয় পাটি তথা মহাজোটের মনোনয়ন থেকে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসএম আব্দুল মান্নান জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে মহাজোটের কোঠায় সেই মনোনয়নটি বাগিয়ে নেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এসএম আব্দুল মান্নান সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন। এতে কপাল পুড়ে মিলনের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App