বিএনপি রাজনৈতিকভাবে গণহত্যার প্রসঙ্গ চাপা দিয়েছে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৮ পিএম
সোমবার বাংলাদেশ গণহত্যার তত্ত্বীয় পাটাতনে শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। ছবি : ভোরের কাগজ
১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ গণহত্যার তত্ত্বীয় পাটাতনে’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে আয়োজিত ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. আহম্মেদ শরীফ। আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শামীম খান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুনতাসীর মামুন বলেন, আমাদের বিজয়কে যেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় সেভাবে গণহত্যার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয় না। অথচ বিজয়ের কথা বললে গণহত্যার প্রসঙ্গ চলে আসে।
গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয় উল্লেখ তিনি বলেন, বিএনপি গণহত্যাকে কোনোদিন গুরুত্ব দেয়নি। আধিপত্য বিস্তারের জন্য বরং রাজনৈতিকভাবে গণহত্যার প্রসঙ্গ চাপা দিয়েছে এবং এখনও দিতে চায়। আমাদের উচিত গণহত্যার প্রকৃত সত্য তুলে ধরা।
এই ইতিহাসবিদ আরো বলেন, কোনো সরকারই গণহত্যার স্বিকৃতির জন্য উদ্যোগ নেয়নি। অথচ রাষ্ট্রকেই এই স্বিকৃতির জন্য অন্য রাষ্ট্রকে অনুরোধ করতে হবে। একাত্তরের যুদ্ধে বাংলাদেশকে কেউ স্বিকৃতি দেয়নি, তাই স্বিকৃতি আদায় করে নিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পেছনে অনেক রক্ত, ঘাম, বেদনার স্মৃতি জড়িয়ে আছে মন্তব্য করে মুনতাসীর মামুন আরো বলেন, গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর বিভিন্ন আলোচনায়, আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এমনকি গুগলের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, যেন টেকনোলজির মাধ্যমে গণহত্যার বিষয়টি ছড়িয়ে দেয়া যায়।
তিনি গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।