×

জাতীয়

বাজেট স্বল্পতায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ইসির সংশয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:২৩ পিএম

বাজেট স্বল্পতায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ইসির সংশয়

ফাইল ছবি

বাজেট স্বল্পতার কারণে বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ করা শূন্য হওয়া পাঁচ আসনের উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ইসি। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, সিসি ক্যামেরা কোনো সল্যুশন নয়। এটা আইসিইউতে থাকার মতো। বিএনপির এমপিরা পদত্যাগ করবেন এবং এই পাঁচটি আসন শূন্য হবে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তাছাড়া এ বিষয়ে বাজেটও ধরা হয়নি।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ছিল না। তবুও কোনো অঘটন ঘটেনি। এবার নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে। এতে ব্যালেন্সও হবে। ফলে এই উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা লাগবে না।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থোক বরাদ্দ দিয়ে আসন্ন উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা কেনা যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এটা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে খরচ করা যায়। সিসি ক্যামেরা রেভিনিউয়ের টাকায় কিনতে হয়। তারপরও ভোট হতে বাকি আছে। যদি প্রয়োজন হয়, তবে কমিশনে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতেও পারে।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার শূন্য পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- শূন্য পাঁচ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৫ জানুয়ারি। যাচাই-বাছাই ৮ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

শূন্যঘোষিত পাঁচটি আসন হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, বগুড়া-৪, বগুড়া–৬, ঠাকুরগাঁও-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।

গত ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। পরদিন ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে বিএনপির সাত এমপি জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App