×

অর্থনীতি

৫ মাসে বিদেশ গেছেন চার লক্ষাধিক কর্মী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:১৯ এএম

কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়েই চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। অন্যান্য খাতের মতো বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতেও এই মন্দার প্রভাব পড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৫ মাসে ৪ লাখ ১২ হাজার ২৭০ জনের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর কর্মী গমনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ অর্থবছরে ৯ থেকে ১০ লাখ লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান হওয়ার আশা করছে সরকার।

গতকাল শনিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সচিব জানান, জনবল সমৃদ্ধ এ দেশে প্রতি বছর আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লাখ কর্মী শ্রমবাজারে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ লোক বৈদেশিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। বিএমইটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন নারী-পুরুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যায়। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের পাঠানো ২২ হাজার ৭০ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

শ্রম বাজারের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে সচিব জানান, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার চালু হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৪১ জনের নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কর্মী পাঠানো বিষয়ে গ্রিসের সাথে বাংলাদেশের একটি আগ্রহপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। আলবেনিয়া, মাল্টা ও বসনিয়ার সঙ্গেও কর্মী পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে নতুন শ্রমবাজার হিসেবে কম্বোডিয়া, উজবেকিস্তান, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশ এবং জাপান, চীন, ক্রোয়েশিয়া, সেনেগাল, বুরুন্ডি, সিশেলস-এ কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ, বৈধ পথে প্রবাসী আয়-গড়ব বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ রবিবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। জাতিসংঘের সব সদস্যভুক্ত দেশ প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করে আসছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ব্যাপক হারে অভিবাসন ও বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ঘিরেই এ দিবসের উৎপত্তি। ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে।

দিবসের মূল ও জাতীয় অনুষ্ঠান আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও অনুষ্ঠানে সিআইপি (এনআরবি) সন্মাননা এবং প্রবাসীদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি দেয়া হবে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সারাদেশে দিবসটি উদযাপিত হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App