×

জাতীয়

স্বাধীনতার ইতিহাসে জিয়ার নাম কোথায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:২৭ পিএম

স্বাধীনতার ইতিহাসে জিয়ার নাম কোথায়

রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ গণহত্যার শ্রেণি, লিঙ্গ ও ধর্মভিত্তিক বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

স্বাধীনতার ইতিহাসে জিয়ার নাম কোথায়

রবিবার বিকেলে বাংলা একাডেমিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। ছবি: ভোরের কাগজ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধারাবাহিক স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ এর সামরিক শাসন জারি, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসে কোথায় রয়েছে জিয়াউর রহমানের নাম এমন প্রশ্ন রেখে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাঠক ও ঘোষক কোনোদিন এক হতে পারে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন।

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, অতিরিক্ত সচিব সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সংস্কৃতি সচিব মনিরুল আলম। ধন্যবাদ দেন অতিরিক্ত সংস্কৃতি সচিব (প্রশাসন) হাসনা জাহান খানম।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করে ও এর মাধ্যমে স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে। ষাটের দশকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া ছায়ানট, উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রই ছিলো তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। সেসময় সংস্কৃতিকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিলো।

তিনি বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চা রাজনৈতিক অধিকার সচেতন করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন সংস্কৃতিকর্মীরা।

অনুষ্ঠানে মো. আবুল মনসুর বলেন, সুকুমারবৃত্তির বিকাশ, সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বিকাশে সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশ অত্যাবশ্যক। কেননা, সংস্কৃতি চর্চা মানুষের মনের অন্ধকার, গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূর করতে সহায়তা করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App