×

সারাদেশ

প্রেমের টানে মহেশখালীতে থাই রমনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫১ এএম

প্রেমের টানে মহেশখালীতে থাই রমনী

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাইল্যান্ডের রমনী তানিদার (৩৮) সঙ্গে পরিচয় হয় কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর তরুণ ওচমান গণির (২২)।

ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হতে হতে বছরখানেকের মাথায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অবশেষে প্রেমের টানে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে ওচমান গণিকে বিয়ে করলেন তানিদা।

ওচমান গণি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে। গত ১২ ডিসেম্বর ওই বাড়িতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ওচমান গণির বাড়িতেই আছেন তানিদা। প্রতিদিনই তাকে দেখতে গ্রামের নারীরা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।

জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারিতে মহেশখালীতে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যান। পরে তার বাবার অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশে আসেন থাই তরুণী। সে যাত্রায় সাত দিন থাকেন। সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন তানিদা। এরপর ১২ ডিসেম্বর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। তার নাম রাখা হয় খতিজাতুল কোবরা। ওই দিনই তাদের বিয়ে হয়।

ওচমান গণি জানান, তার স্ত্রী এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।

তিনি আরও বলেন, ভিসা পেলে তিনিও থাইল্যান্ডে যাবেন। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবেন ওচমান। ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসবেন।

ওচমানের বাবা জাবের আহমদ বলেন, পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ওচমান গণি চতুর্থ। সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম শহরে একটি মুরগির ফার্মে চাকরি নেন ওচমান। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন। চাকরি নেন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। ওই চাকরি চলে গেলে ৯ মাস ধরে বেকার এই তরুণ।

তিনি আরও বলেন, ‘বউমা আমাদের ভাষা বোঝেন না। ইশারা–ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছি। এখন প্রতিনিয়ত সে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছে।’

মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, খবরটি জেনে আমরাও দেখতে গিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App