×

জাতীয়

ব্যাংক খাতের দুর্বলতার কারণ জানাল সিপিডি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৫৮ পিএম

ব্যাংক খাতের দুর্বলতার কারণ জানাল সিপিডি

শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক-ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত সংলাপে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতার সঙ্গে করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, ব্যাংক খাত দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বলতার মুখোমুখি।

সিপিডি আরও জানায়, ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এই খাতের সব সূচকেই রয়েছে দুর্বলতা। সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে পুরো খাতটি দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় লক্ষ্য ও সময়ভিত্তিক, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠন করা জরুরি।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক-ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত সংকটে অর্থনীতি: কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে? শীর্ষক সংলাপে এসব কথা ওঠে আসে।

সংলাপে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথি এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহানের সঞ্চালনায় সংলাপে আলোচকদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী।

সিপিডি’র আলোচনাসভায় ফাহমিদা খাতুন বলেন, বহুদিন ধরে ব্যাংক খাতটি দুর্বলতার মুখোমুখি। খেলাপি ঋণ বাড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সূচকেও দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। এগুলো যদি উন্নতি না হয় তাহলে ব্যাংকগুলোতে মূলধনের ঘাটতি রয়েই যাবে। প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক, আইন ও তথ্যগত দুর্বলতার কারণে ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থনীতিতে কী ঘটেছে, বিভিন্ন ঘটনায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অভ্যন্তরীণ চাহিদা যেহেতু বাড়ছিল, সেহেতু এর ব্যবস্থাপনাটা দেখার দায়িত্বের কথাও এসে যায়। মূল্যস্ফীতি যখন বাড়তে থাকল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন কী করল? যে মুদ্রানীতির কথা আমরা শুনেছিলাম, তাতে সংকোচনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তথ্য-উপাত্তে তা আর দেখা যায়নি।

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সমস্যা নীতি প্রণয়নে। ভারতের মূল্যস্ফীতি পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তারপরও তারা সুদের হার বাড়িয়েছে। সরকার বলছে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সংকট কেটে যাবে। আমি বিশ্বাস করি না।

আহসান মনসুর বলেন, খারাপ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মানুষ ভালো ব্যাংকে রাখছে। দেখলাম যে ব্র্যাক ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধি ৩৪ শতাংশ। এত প্রবৃদ্ধি আমরা আশাই করিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App