×

সাহিত্য

ইলিনভাগের ছবিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪০ পিএম

ইলিনভাগের ছবিতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন

শনিবার সন্ধ্যায় দৃক গ্যালারিতে ওরিয়ান এফ. ইলিনভাগের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ছবি : ভোরের কাগজ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিতে থাকা দেশ। এখানে সাইক্লোন, বন্যা, নদী ভাঙন এবং পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় এ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী ও মেয়ে শিশুরা। তাই যেন ফুটে উঠেছে নরওয়ের আলোকচিত্রী ওরিয়ন এফ ইলিনভাগের ছবিতে।

প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ছবিগুলো সাধারণ কোনো দুর্যোগের ছবি নয়। তবে সবগুলো ছবিই কোনো না কোনোভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। এই ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন পরিবেশ এবং স্থানের মধ্যকার মিল ও অমিল ফুটে উঠেছে। ছবিগুলো একদিকে যেমন আলাদা গল্প বলে, আবার কখনো পরিবেশ বিপর্যয়ের কার্যকারণও বর্ণনা করে।

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এমন ২৮টি ছবি নিয়ে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ওরিয়ান এফ. ইলিনভাগের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

শনিবার সন্ধ্যায় দৃক গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার সোভেনডেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম। ‘এজ ইউ ওয়্যার’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীর যৌথ আয়োজক দৃক পিকচার লাইব্রেরি ও ঢাকাস্থ নরওয়ে দূতাবাস।

প্রদর্শনীতে ওরিয়ান এফ ইলিনভাগের দুই বছর আহে তোলা একটি ছবি দৃষ্টি কেড়ে নেয়। সাগরের নীল জলরাশি, উন্মুক্ত আকাশ মানুষের মন কেড়ে নেয়। কিন্তু গভীরভাবে দেখলে হলুদ হয়ে যাওয়া আকাশ জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের কথাই তুলে ধরে।

২০০৭ সালে যমুনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে নোনা জলের অনুপ্রবেশ এবং বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন করতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসেন ওরিয়ন। বর্তমানে ঢাকায় বসবাসরত এই আলোকচিত্রী বিগত চল্লিশ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশে রাজনীতি, অর্থনীতি, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অধিকমাত্রায় সর্বত্র অনুভূত হওয়া সত্ত্বেও এখনো মানুষ তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে পারছে না। তার ভাষ্যমতে, 'আমরা জানি আমরা কী ক্ষতি করছি। তবুও আমরা সেভাবেই চলছি। হতে পারে আমরা বুঝে উঠতে পারি না, তাই যা করা দরকার তা আমাদের কাছে অসম্ভব মনে হয়। আমার এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য কৌতূহল সৃষ্টি করা এবং এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপনে উৎসাহিত করা।'

প্রদর্শনীটি আগামি ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত প্রতিদিন সবার জন্য বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App