×

খেলা

দ্রুত গোল পাওয়া ফ্রান্সের টার্নিং পয়েন্ট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:২৩ এএম

দ্রুত গোল পাওয়া ফ্রান্সের টার্নিং পয়েন্ট

ছবি: সংগৃহীত

দ্রুত গোল পাওয়া ফ্রান্সের টার্নিং পয়েন্ট

ছবি: ভোরের কাগজ

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মরক্কো যেভাবে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে তাতে হয়তো সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ফলাফল অন্যরকম হতো। তবে ফ্রান্সের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ম্যাচের শুরুতেই গোল করা। বলতে গেলে অভিজ্ঞতায় বাজিমাত করেছে ফ্রান্স। আমি আগেই বলেছিলাম মরক্কো যদি কোনোভাবে আগে একটি গোল করতে পারে তাহলে তাদের রক্ষণে যারা আছে তাদের দিয়ে ফ্রান্সকে রুখে দিতে পারবে।

কিন্তু তারা আগে গোল হজম করায় তাদের সে প্ল্যান কোনো কাজে লাগেনি। ৫ মিনিটেই গোল খেয়ে তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। তবে গোল হজম করেও তারা যেভাবে খেলায় ফিরতে চেষ্টা করেছে তা অবশ্য মনে রাখার মতো। পুরো ম্যাচে বল দখলে তারা ছিল এগিয়ে। এগিয়ে থাকলে তো আর ম্যাচ জেতা যায় না। গোল দিয়ে জিততে হয়। এক্ষেত্রে রক্ষণ সতর্ক থাকায় কোনো গোল হজম করেনি দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

ফ্রান্সের রক্ষণের পাশাপাশি অধিনায়ক হুগো লরিস গোলপোস্ট যেভাবে আগলে রেখেছিলেন তার প্রশংসাও না করলেই নয়। তিনি অসাধারণ দুটি সেভ করে দলকে নিশ্চিত গোল হজম থেকে রক্ষা করেছেন।

[caption id="attachment_391211" align="alignnone" width="1411"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

শুরুতেই যে গোলটি সেভ করেন সেটি যদি গোল হতো তাহলে ম্যাচে সমতা ফেরার সঙ্গে সঙ্গে মরক্কোও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেত। এরপরেও দ্বিতীয়ার্ধে লরিস আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেছে। যা তাদের জিততে সহায়তা করেছে। মরক্কো যে জায়গায় ভুল করেছে সেটি হলো তারা এমবাপ্পে, ডেম্বলে, জিরুডকে আটকে রাখতে গিয়ে বাকি খেলোয়াড়দের দিকে মনোযোগ বাড়ায়নি। ফলে অবশিষ্ট খেলোয়াড়রাই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। প্রথম গোলটি করেন ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজ। এরপর আক্রমণের ঝড় তুলেছে ফ্রান্স। বেশ কয়েকবার মরক্কোর রক্ষণ ভেঙেও দিয়েছিলেন এমবাপ্পে-জিরুডরা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছে মরক্কো। বেশ কয়েকবার ফ্রান্সের রক্ষণে হানা দিয়েও কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পাননি হাকিমিরা। কিন্তু ফিনিশারের অভাবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি মরক্কো। বলা যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে পরাজিত হয় মরক্কোর রক্ষণ। দ্বিতীয়ার্থে ফের গোল হজম করায় তারা ম্যাচ থেক ছিটকে যায়। গোলটি আসে বদলি নামা মুকানির পা থেকে। দুইটি গোলই হয়েছে মরক্কোর রক্ষণভাগের ভুলে।

ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল এটলাস লায়নরা। তাদের সেই যাত্রা সেমিফাইনালেই শেষ। তবে মরক্কোর ফুটবলাররা হেরেও যতটুকু উচ্ছ্বাস দেখিয়েছে তাতে মনে হয়েছে হারের মধ্যেও গর্ব করেছে তারা। তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে তৃতীয় স্থান দখল করার। ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে পারলেই তারা হবে এই আসরের তৃতীয় দল।

ফলাফল যাই হোক, ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে ও হাকিমির বন্ধুত্বের জয় হয়েছে। আমার মনে হয়েছে এটাই আসলে ফুটবলের সৌন্দর্য। এমবাপ্পে হাকিমির সঙ্গে জার্সি বদল করে সেই জার্সি পরেই উদযাপন করেছেন। হাকিমিও এমবাপ্পের জার্সি পেয়ে মহাখুশি। যেহেতু একজনকে হারতেই হবে তাই তারা এটি মেনে নিয়েছে। এখন ফ্রান্সের সামনে ফাইনালে আর্জেন্টিনা। মেসিদের হারানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তারা। আর আর্জেন্টিনাও চাইবে তাদের ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে। সেমিফাইনালে যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এখন অপেক্ষায় আছি একটি জমজমাট ফাইনাল দেখার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App