×

সারাদেশ

সিঙ্গাইরে ধল্লা-গাজিন্দা যুদ্ধ দিবস পালিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:০০ পিএম

সিঙ্গাইরে ধল্লা-গাজিন্দা যুদ্ধ দিবস পালিত
সিঙ্গাইরে ধল্লা-গাজিন্দা যুদ্ধ দিবস পালিত
সিঙ্গাইরে ধল্লা-গাজিন্দা যুদ্ধ দিবস পালিত

ছবি: ভোরের কাগজ

১৯৭১ সালে ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার ধল্লা-গাজিন্দা গ্রামে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি যোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছ, রমিজ ও শরীফ। ৩ শহীদকে সমাহিত করা হয় ধল্লা ইউনিয়ন কাউন্সিল উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙিনায়।

ধল্লা-গাজিন্দা যুদ্ধ দিবস ১৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজনৈতিক, সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। সকালে ৩ শহীদের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর যুদ্ধে নিহত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা এবং মুক্তিযোদ্ধা নতুন প্রজন্ম জনতা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ধল্লা ইউনিয়ন কাউন্সিল উচ্চ বিদ্যালয় ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুদ্ধ কালীন কমান্ডার ইঞ্জিঃ তোবারক হোসেন লুডু,উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুশফিকুর রহমান খান হান্নান. উপজেলা নিবার্হী অফিসার দিপন দেবনাথ, এএসপি (সিংগাইর সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল ইমরান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাঈদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বাশার, ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্যা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ধল্লা ইউনিয়ন কাউন্সিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ১ দিন আগে ১৯৭১ সালে ১৫ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা-গাজিন্দা গ্রামে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়াবহ সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাড. ফজলুল হক খানের নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এলাকার সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ যুদ্ধে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আনিছ ও রমিজ। যুদ্ধাস্থলে পাাকহানাদার বাহিনীর ১১ জন সদস্য নিহত হয়। এছাড়া পাকিস্তানি সেনারা মেদুলিয়া গ্রামের ওফাজুদ্দিন, ছাত্তার মোল্লা, আবুবকর, বোরহান, গাজিন্দা গ্রামের একই পরিবারের ইব্রাহিমের ছেলে আকাইলা, তার স্ত্রী ফুলজান, শিশুপুত্র আওয়াল, শ্যালিকা বিশারমা, জায়গীর গ্রামের চরন,পূর্ব বাস্তা গ্রামের ছামাদ, বাছের ডাক্তারসহ ২২ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়। সেই যুদ্ধে আহতদের মধ্যে অনেকে মারা গেলেও যুদ্ধের ক্ষত নিয়ে অনেকে বেঁচে আছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App