×

জাতীয়

‘প্রমাণ’ দেখতে ডিবি কার্যালয়ে ফারদিনের সহপাঠীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:৩৪ পিএম

‘প্রমাণ’ দেখতে ডিবি কার্যালয়ে ফারদিনের সহপাঠীরা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর আত্মহত্যার প্রমাণ দেখতে ডিবির আহ্বানে রাজধানীর মিন্টো রোডে সংস্থাটির কার্যালয়ে গেছেন একদল সহপাঠী। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফারদিন হত্যার বিষয়ে ডিবির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ আপাতত স্থগিত করে ডিবি কার্যালয়ে গেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ডিএমপি গণমাধ্যম শাখার প্রধান মো. ফারুক হোসেন বলেন, বুয়েটের একটি প্রতিনিধিদল ডিবি প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। ফারদিনের সহপাঠীরা বলছেন, ফারদিন কিভাবে এবং কেন আত্মহত্যা করেছেন তা তারা দেখার জন্য মূলত ডিবি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন। তাদের সন্দেহ ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারে না।

এর আগে বুধবার ফারদিনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শেষে ডিবি জানায়, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। এর প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ সকাল ১০টায় বুয়েট শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছিলেন বুয়েটের একদল শিক্ষার্থী।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ফারদিনের ডিজিটাল ডিভাইস পর্যালোচনা করে ও প্রযুক্তির সহায়তায় একজন মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চ্যাটিংয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। সেই মেয়েকে ফারদিন তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথা শেয়ার করতেন।

ফারদিন হতাশা ও টাকার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সরাসরি ‘আত্মহত্যা’ না বলতে চাইলেও স্বেচ্ছায় ডেমরা সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন বলে দাবি করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রাজধানী ডেমরার কোনাপাড়া নিজ বাসা থেকে পরীক্ষার কথা বলে বুয়েটের হলের উদ্দেশ্যে বের হয় ফারদিন। বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে ফারদিন সায়েন্সল্যাব মোড়ে তার পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সেখান থেকে নীলক্ষেত ও ধানমন্ডিসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। পরবর্তীতে সাতমসজিদ রোডে একটি রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পরে তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।

এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে- এমন নানা তথ্যের মধ্যেই তদন্তে তার আত্মহত্যার তথ্য জানালো ডিবি ও র‌্যাব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App