×

জাতীয়

জুনে পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:১০ এএম

জুনে পদ্মা সেতুতে চলবে ট্রেন

ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু দিয়ে আগামী বছর জুনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এবার সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের অপেক্ষা। ইতোমধ্যে সেতুর ওপর রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জুনের শুরুতে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের ট্রেন চালু করা হবে।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে ২০২৩ সালের জুনে। এ সময় ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সে লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে।

পদ্মা সেতু ও এর দুই প্রান্তে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। প্রকল্প নেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। শুরুতে যানবাহনের সঙ্গে একই দিন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে রেললাইন বসানোসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণকাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। ভায়াডাক্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছুটা ত্রুটিও ধরা পড়ে। পরে বুয়েট ও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের তৎপরতায় দ্রুত ভায়াডাক্টের ত্রুটি সংশোধন করা হয়।

প্রকল্প পরিচালক মো. আফজালুর রহমান জানিয়েছেন, ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া। দ্বিতীয় ভাগ মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা।

শেষ ভাগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশ পড়েছে। শুরুর পরিকল্পনা অনুসারে, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশ আগে চালুর কথা ছিল। এরপর পর্যায়ক্রমে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশের কাজ শেষ হবে। এখন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত এ ৮২ কিলোমিটার আগামী বছরের জুনে ট্রেন চলাচল করবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের পথে। তবে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইনের কাজ একটু পিছিয়ে রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি সেতু, কালভার্টসহ নানা নির্মাণকাজ চলছে।

তিনি জানান, করোনা মহামারিসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে একটু দেরি হয়েছে কাজের।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন আগামী বছরের জুনে চালুর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এই পথের দূরত্ব ৮২ কিলোমিটার। ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর রেলসংযোগ আগে থেকেই আছে। ফলে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথের কাজ শেষ হলে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বিকল্প আরেকটি পথ চালু হয়ে যাবে।

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। মাওয়া থেকে ভাঙ্গার কাজ শেষ হয়েছে ৮০-৮৫ শতাংশ। ৫২-৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে রেলপথ বসানোর কাজ চলছে। তবে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত দূরত্ব ৩৮১ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু দিয়ে যে রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার কমে যাবে। এখন আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে সময় লাগে ১১ ঘণ্টা। কিন্তু পদ্মা সেতু হয়ে যে রেললাইন করা হচ্ছে, তাতে উচ্চগতির ট্রেন চালানো সম্ভব। ফলে খুলনা-যশোর চার ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া সম্ভব হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App