সতর্ক থাকতে হবে ফ্রান্সকে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:২৯ এএম
সেমিফাইনালে মরক্কোকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা তারা সেমিতে এসেছে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে। ফ্রান্স-মরক্কো ম্যাচে অবশ্যই ফ্রান্স ফেভারিট। তবে মরক্কোর আছে আত্মবিশ্বাস। তারা বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে খেলেও নিজেদের জালে কোনো গোল হজম করেনি। তাই তাদের ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। আমার মনে হয় মরক্কো যদি কোনোভাবে আগে একটি গোল করতে পারে তাহলে তাদের রক্ষণে যারা আছে তাদের দিয়ে ফ্রান্সকে রুখে দিতে পারবে। তাই ফরাসিদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবেই আগে গোল হজম করা যাবে না। মরক্কো তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবে।
ফ্রান্সের অ্যাটাকিং সাইড অনেক ভালো। ডেম্বলে ও এমবাপ্পে এই বিশ্বকাপে দ্রুত গতির প্লেয়ার। তাদের সঙ্গে জিরুদের ফিনিশিং চমৎকার। আমি বলব তাদের ফিনিশিংয়ের দিকে আরো মনোযোগ বাড়াতে হবে। মরক্কো যদি এমবাপ্পেসহ বাকি ফরোয়ার্ডদের কড়া পাহারায় রাখতে পারে তাহলে তাদের জন্য ভালো। মরক্কো যেভাবে সীমিত সামর্থ্য দিয়েই এতদূর পর্যন্ত এসেছে তাতে অবশ্য তারাও চাইবে ফাইনালে খেলতে এবং ইতিহাস গড়তে। তবে ফ্রান্সের উচিত হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই খেলার সমাধান আনা। যদি কোনো কারণে ফ্রান্স নির্ধারিত সময়ে গোল করতে না পারে তাহলে অতিরিক্ত মিনিটেই গোল করতে হবে তাদের। কেননা টাইব্রেকারে কোনো দলের জয়ের নিশ্চয়তা নেই। এই মুহূর্তে টাইব্রেকারে কোন দল জিতবে তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। তবে টাইব্রেকারে মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো দুর্দান্ত।
আগের খেলায় লক্ষ করেছি মরক্কো কোনোভাবেই গোল হজম করতে চায় না। সেজন্য তারা শুরু থেকেই ডিফেন্সিভ খেলে। তবে তারা ডিফেন্সিভ খেললেও দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে যেতে পারে। কাউন্টার অ্যাটাকে যেভাবে এগিয়ে যায় তাতে তাদের রুখতে পারা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর মরক্কোর রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমি এবং ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে পিএসজির সতীর্থ। এমনকি তারা ভালো বন্ধু। হাকিমি ভালোভাবেই জানে এমবাপ্পের দুর্বলতা কোন জায়গায়। তাকে কীভাবে রুখতে হবে। হাকিমি আগেই সেটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেও দিয়েছেন। তাই লড়াই যাই হোক, দুই বন্ধুর দ্বৈরথ দেখতে পারব বলে আশা করছি।
মরক্কো তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এতদূর এসেছে। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচদেরও মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে এই ম্যাচে। যদিও মরক্কোর বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ফরাসিরা। তবে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে ইতিহাস গড়া আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে তারা এবার আধিপত্য ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এই দুই দল। তাই ফ্রান্স চাইবে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে আর মরক্কো চাইবে ফ্রান্সের জয়রোধ করতে। ফ্রান্সের শক্তির জায়গা মিডফিল্ড এবং অ্যাটাকিং। আর মরক্কোর ডিফেন্স ও গোলরক্ষক। এরপরেও সবকিছু মিলিয়ে ফ্রান্সকে কিছুটা এগিয়ে রাখাই যায়।