×

রাজনীতি

বিএনপি সমাবেশের অর্জন কী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:২৯ এএম

* সরকারের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন * বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে হতাশ তৃণমূল

বিএনপির আন্দোলনের ‘ওয়ার্মআপ’ শুরু হয় ৩ মাস আগে। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ধরেই অক্টোবরে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করে দলটি। আন্দোলন প্রশ্নে বিএনপি তখন ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্নে’। দলটির নেতাদের ভাষ্য ছিল-ছাড় দেয়ার আর সময় নেই। সরকার পতন না করে তারা ঘরে ফিরবেন না। সিনিয়র নেতাদের এমন বক্তব্যে প্রাণ ফিরে পায় মাঠের নেতাকর্মীরা। মামলা হামলার ভয় উপেক্ষা করে তারা সরব থেকেছেন রাজপথে। রক্ত ঝড়িয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। তাদের সাংগঠনিক একাত্মতাও মনোবল উজ্জবীত করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও। দলীয় সভা সমাবেশে তাদের সরব উপস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ক্ষমতাসীন শিবিরেও। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশে কী দিক-নির্দেশনা পেলেন নেতাকর্মীরা? কি অর্জন হলো বিএনপির? এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা।

বিশ্লেষকদের মতে, সমাবেশের আগে বিএনপির যে হুংকার দেখা যায়; বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটেনি। বরং সমাবেশের আগের দিন থেকে দলটির নেতাদের মধ্যে নমনীয় ভাব দেখা যায়। সরকারের সঙ্গে তলে তলে সমঝোতার আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠে। আর সমাবেশ থেকে যে কর্মসূচি দেয়া হয়; তাও পর্বতের মুশিক প্রসবের মতো। তবে দলীয় সংসদ সদস্যদের পদতাগের ঘোষণা এবং পরদিন তা বাস্তবায়ন করা বড় ঘটনা- যদিও এমন সিদ্ধান্তের বিচক্ষণতা নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তারা মনে করেন, আন্দোলন তুঙ্গে উঠার আগেই সংসদ থেকে পদত্যাগের তেমন কোনো প্রভাব রাজনীতিতে পড়বে না।

অন্যদিকে কারো কারো মতে, বিএনপির টানা কর্মসূচিতে দলটির নেতাকর্মীরা যেভাবে উজ্জীবিত হয়েছেন; তাতে তাৎক্ষণিক না হলেও দীর্ঘমেয়াদি ফল মিলবে- যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। তারা বলছেন, বিএনপির কিছু নেতার উসকানিমূলক বক্তব্য, জেদ আর ভুল কৌশলের কারণে তারা সমাবেশ থেকে মূল দাবি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ ভোরের কাগজকে বলেন, হঠাৎ করেই কোনো একটি

রাজনৈতিক দল আন্দোলনের চূড়ায় পৌঁছে যাবে এমন ভাবার কারণ নেই। বিএনপির নেতাকর্মীরা গত কয়েক মাস ধরে অনেক কষ্ট করে রাজপথে থেকেছে। তারা কাঁধে কাঁধ রেখে একসঙ্গে সমবেত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে, উজ্জীবিত হয়েছে- এটা কম প্রাপ্তি নয়। তবে আগামীতে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য ও কৌশল সম্পর্কে সর্তক হওয়া জরুরি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনের একমাত্র অর্জন নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত মনোবল। যেটা আগে ছিলো না। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তারা নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে।

কঠোর হুঙ্কার দিয়ে নরম কর্মসূচি কোনো বিএনপির? এমন পশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, কর্মীরা সহিংস কর্মসূচি চায়, যেটা হুট করে হয় না। এর জন্য আগে প্রেক্ষাপট তৈরি করতে হয়। বিএনপিতে সমাঝোতার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে- কি বলবেন? হাফিজ উদ্দিনের জবাব- রাজনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনার অভাবে এসব আলোচনা আসে। তবে মনে হয় না বিএনপির সমঝোতায় আসার মতো দুরবস্থায় পড়েছে। তবে কোনো নেতা যদি মনে করেন- সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে চলতে পারেন।

গত শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের মধ্যে দিয়ে দেশজুড়ে উত্তেজনার পারদ আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান ঘটে। মাসজুড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বাগযুদ্ধ হয়। সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে শেষের ৪ দিন ঘটে সংঘর্ষ। শীর্ষ নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক পর্যায়ে সমাবেশ হবে কি হবে না- এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেও শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ছাড়াই সমাবেশ শেষ হয়। এই সমাবেশ থেকে একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। বিষয়টি সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চায় নতুন ইস্যু তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি এই সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় দলটি। তবে এই সমাবেশ ঘিরে বিএনপির ভেতরে ও বাইরে চুল-চেরা বিশ্লেষণ চলছে।

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন : ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে সরকারের সঙ্গে ভেন্যু নিয়ে বিএনপির দর-কষাকষির মধ্যেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেটিই হোক একটি সমঝোতা হবে, হয়ে যাবে। বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে আজ মেঘ ঘনীভূত হয়েছে; আবার চট করে চলে যাবে। আমি একজন চিরন্তন আশাবাদী মানুষ।’ কাদেরের এই বক্তব্যের পর খোদ বিএনপিতেই আলোচনা শুরু হয়- সমাবেশ সফল করতে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল; তাদের কেউ কেউ সরকারের সঙ্গে তলে তলে যোগসাজশ করে নয়াপল্টন কার্যালয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কর্মীদের উসকে দিয়েছিল- সমঝোতার ক্ষেত্র তৈরি করতে।

তবে বিএনপি সূত্র জানায়, নয়াপল্টনে সমাবেশ করার বিষয়ে অটল ছিলেন দলের ভারপ্রাপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের কয়েকজন নেতা নির্বাচনের এতো আগে নয়াপল্টনে সমাবেশ করে কর্মীদের ঝুঁকির মুখে না ফেলার পরামর্শ দিলে তারেক তাতে নাখোশ হন।

ফখরুল-আব্বাস গ্রেপ্তার কেন? : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিএনপিতে নানা প্রশ্ন ও রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। গত ৭ নভেম্বর যখন বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে; তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে ছিলেন। কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও অভিযানের ঘটনা শুনে তিনি ছুটে যান সেখানে। কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে না পেরে তিনি মূল ফটকের সামনে বসে পড়েন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা তিনি সেখানে বসে থাকেন।

পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। বিএনপি নেতাদের অনেকের ভাষ্য- পুলিশ চাইালে সেদিনই মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করতে পারতো। সেটা না করে কেনো গভীর রাতে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেল তাকে? কেন এত নাটক? তাহলে সরকারের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কোনো ‘ডিল’ হয়েছে? গোপনে সমঝোতা বৈঠক করতেই বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে তুলে নেয়া হয়েছে? কেউ বলছেন, দলের মহসচিবকে ঈর্ষান্বিত হয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন দলের ভেতরের কেউ কেউ। কেউবা বলছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেয়া নাশকতার ছক এড়াতেই মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সন্দেহের তীর আমান-উল্লাহ আমানের দিকে : ‘১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে’- দলের এক প্রতিবাদ সমাবেশে এমন হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। তার এই বক্তব্যই উত্তপ্ত করে রাজনীতির মাঠ। এর পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে শুরু হয় কথার লড়াই, হুমকি-পাল্টা হুমকি। এর জেরেই ১০ ডিসেম্বর ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।

বিএনপির ৮ জন কর্মী নিহত হন, অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ছাড়াও সমাবেশ হওয়া নিয়েও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। ফলে অভিযোগের তীর এখন আমানের দিকেই। দলের ভেতরে প্রশ্নে উঠেছে- বিএনপির দলীয় পরিকল্পনা আমান কেন ফাঁস করবে? নিয়শ্চই এখানে তার কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ মাঠেও অনেককে বলতে শোনা যায়- ‘আমানই মূল কার্লপ্রিট’। তার জন্যই আজকে মহাসচিব জেলে। সূত্রের দাবি, আমান-উল্লাহ আমান সমাবেশ সফল করতে দলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পকেটে ঢুকিয়েছেন, যার এক ভাগও সমাবেশে খরচ হয়নি। এমনকি ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নেতাদের পুলিশ রিমান্ডে নিলেও আমান কীভাবে পরদিনই জামিন পেয়ে যান, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। দলের ভেতরেই কেউ কেউ বলছেন, আমান-উল্লাহ আমান সরকারের চর। এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিক বার ফোন করা হলেও আমান-উল্লাহ আমার ফোন ধরেননি।

যুগপৎ নিয়ে এখনো দ্বিধায় সমমনা নেতারা : ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি, গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার, অন্তবর্তীকালীন সরকারের দাবিসহ যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। এই দফাগুলো নিয়ে সমমনা দলগুলোর মতামত ও সম্মতি নেয়া হয়েছে বলে সমাবেশের বক্তব্যে দাবি করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ওইদিন রাতেই জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোট ১০ দফার সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিলেও গণতন্ত্রমঞ্চ এখনো এ বিষয়ে দ্বিধায়।

মঞ্চের নেতারা বলছেন, বিএনপির সব ধরনের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদে তারা রয়েছেন। যুগপৎও হবে। তবে দলটি যে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে তা তাদের যুগপতের কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা সেটা নিয়ে বিবেচনা চলছে। তাদের দাবি’ বিএনপি বেশ তাড়াহুড়ো করেই দফাগুলো প্রকাশ করেছে।

জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও গণতন্ত্রমঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ভোরের কাগজকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের মতে কোনো বিরোধ হয়নি। তবে তারা যে ১০ দফা প্রকাশ করেছে সেখানে কিছু সংস্কার জরুরী। আমরা এটা নিয়ে বৈঠক করেছি। তারপরও কেন এ বিষয়ে সূরাহা না করে দফা প্রকাশ করা হলো, বুঝলাম না। আমার মনে হয়, তারা বেশিই তাড়াহুড়া করল।

নাগরিক অধিকারের নেতা নূরুল হক বলেন, বিএনপি তাদের দাবি প্রকাশ করেছে, আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানাব। এছাড়া যুগপৎ আমি গণতন্ত্রমঞ্চ নাকি অধিকারের ব্যানারে করবো এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

প্রত্যাশিত কর্মসূচি ও দিক-নির্দেশনা না পেয়ে হতাশ নেতাকর্মীরা : ৩ মাস ধরে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলে আসছিলেন, ১০ ডিসেম্বর সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ যখন যুগপৎ আন্দোলন হিসেবে ‘২৪ মার্চ গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, নেতাকর্মীরা তখন হরতাল হরতাল বলে চিৎকার করে উঠেন।

কর্মীদের থামতে বলে মোশাররফ বলেন, আপনার যেমন কর্মসূচি চাইছেন তা দেয়া হবে। ধৈর্য ধরেন। এ সময় নেতাকর্মীদের বলতে শোনা যায়- নেতাদের পক্ষ থেকে তো দিকনির্দেশনা পেলাম না। কেউ বলেন, হুকুম দেন আজকেই নয়াপল্টন উদ্ধার করি। এত লোক একসঙ্গে আপনারা পাবেন না। সমাবেশ শেষে গোলাপবাগ মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে যেতে কুমিল্লা থেকে আসা কয়েকজন বলতে থাকেন- ‘আশা করছিলাম আইজ এমন কিছু হইব বা কইব নেতারা, যাতে সরকার পতন হইয়া যায়। ভাবলাম কী আর হইল কী! এতদিন কী আশ্বাস দিল নেতারা, বুঝলাম না। মিটিং শেষে সবাইরে শান্তিমতো বাড়ি যাইতে কইল।’

এমনকি সমাবেশে ড. খন্দকার মোশারফের বক্তব্য নিয়েও অনেকেই ছিলেন অখুশি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সারাদেশের নেতাকর্মীকে হত্যা, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি গণসমাবেশ শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত জনদাবি চাপা পড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিই মুখ্য হয়ে ওঠে নেতাদের বক্তব্যে। পাশাপাশি মির্জা ফখরুলের অনুপস্থিতি কিছুটা হতাশ করে কর্মীদের। কেউ কেউ বলেন, আজকে যদি মির্জা ফখরুল এই সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই আশানুরূপ দিকনির্দেশনা পেতাম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App