লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ-সবই জিতেছেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কেবল বিশ্বকাপটাই ছুঁয়ে দেখতে পারেননি এখনো তিনি। এবারের কাতার বিশ্বকাপটা ছিল তার জন্য শেষ সুযোগ। তবে এবারও পারলেন না বিশ্বসেরা এই তারকা।

মরক্কোর ইতিহাস সৃষ্টির রাতে পর্তুগিজদের বিদায় নিতে হয়েছে শেষ আটে। ১-০ গোলে হেরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল।

কাতারই রোনালদোর ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ধরে নেয়া যায়। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ রোনালদোকে দিয়েছে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা। শেষে ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ও শেষ আটের লড়াইয়ে মরক্কোর বিপক্ষে তাকে শুরুর একাদশেই রাখেননি পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।

মরক্কোর বিপক্ষে রোনালদো মাঠে নামেন ৫২ মিনিটে। ততক্ষণে ১-০ গোলে পিছিয়ে পর্তুগাল। রোনালদো শুরু থেকেই একাদশে থাকলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারতো। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসের দিকেও রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলানো নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসে। উত্তরে অবশ্য সান্তোস বলেন, আমার মনে হয় না রোনালদোকে শুরু থেকে খেলালে ম্যাচের ফল বদলে যেত। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই দলটাই দারুণ ফুটবল খেলেছে। রোনালদো দুর্দান্ত একজন ফুটবলার। সে তখনই মাঠে নেমেছে, যখন আমরা তার প্রয়োজন অনুভব করেছি। এ নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই।

শেষ বিশ্বকাপ আবার শুরু থেকে না খেলতে পারার আক্ষেপ। হতাশ পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। বিমর্ষ ছিলেন পর্তুগাল কোচ সান্তোসও। আট বছর ধরেই এই দলটার সঙ্গে আছেন তিনি।

কৌশলের কারণে রোনালদোকে শুরু থেকে খেলাতে না পেরে হতাশ সান্তোস বলেন, দলের স্বার্থে আমি আমার মনের কথা শুনতে পারি না, আমাকে মাথা দিয়ে ভাবতে হবে। এই হারে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছে, এমন দুজন ব্যক্তিকে যদি বেছে নিতে হয়, তাহলে তার একজন আমি, অন্যজন রোনালদো। অবশ্যই আমরা খুবই হতাশ। কিন্তু কোচ ও ফুটবলারদের কাজটাই এমন।