×

খেলা

অতিরিক্ত সময়ে অন্য আর্জেন্টিনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:২৬ এএম

অতিরিক্ত সময়ে অন্য আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

কোয়ার্টার ফাইনাল আসলেই যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি ব্রাজিল বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে। বলতে গেলে বলব ব্রাজিলের দুর্ভাগ্য। শুরু থেকেই তারা স্লো খেলেছে। আমি মাঠ থেকে তাদের খেলা দেখেছি। তাদের মধ্যে ম্যাচ জয়ের কোন ক্ষুধা ছিল না। অন্য ম্যাচগুলোতে তারা যেভাবে জয়ের জন্য মুখিয়ে থাকে এই ম্যাচে এটা অনুপস্থিত ছিল। যদিও শুরুর দিকে ক্রোয়েশিয়া সেভাবে বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি তবে কিছু সময় পর তারা নিয়ন্ত্রণ নেয়া শুরু করে। ভেবেছিলাম ব্রাজিলের পেছনে ক্রোয়েশিয়া দৌড়াবে কিন্তু লুকা মড্রিচ একাই যে খেলাটা খেলছে তার প্রশংসা না করলেই নয়। তার সারা মাঠে বিচরণ দলের শক্তি যুগিয়েছে। আক্রমণ থেকে শুরু করে মিডফিন্ড কিংবা ডিফেন্স সব জায়গায় খেলেছেন তিনি। সেকেন্ড হাফে ব্রাজিল আরো বেশি প্রেশার দিয়েছে। গোলের সুযোগ তৈরির চেস্টা করেছে। তবে ক্রোয়েশিয়া কোন চান্স ক্রিয়েট করতে পারেনি। ব্রাজিলের এই ম্যাচে গোল মিসের ব্যপারটা লক্ষণীয় ছিল। নেইমার, রিচার্লিসনরা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। গোল না পাওয়ায় তাড়াতাড়ি ভিনিসিয়াসকে উঠিয়ে নেয়া কোচের এমন সিদ্ধান্ত আমার ভালো লাগেনি।

যাইহোক এক্সট্রা টাইমে নেইমার যে গোলটা করেছিল তা অসাধারণ, তা না বলে কোনো উপায় নেই। কিন্তু এক্সট্রা টাইমের বাকি ১৫ মিনিট ব্রাজিলের এমন খেলা প্রত্যাশা ছিল না। এরা গোল করার পর কোনো আক্রমণ করেনি। তাদের এই কৌশল অপ্রত্যাশিত। শেষ সময়ের তিন মিনিট আগে কর্নার থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে ক্রোয়েশিয়া যে গোলটা করে তাও মন্দ বলব না। তবে ব্রাজিলের মতো একটা দল মাত্র ১৫ মিনিট ক্রোয়েশিয়াকে আটকে রাখতে পারবে না এটা ভাবিনি। তবে টাইব্রেকারে লিভাকোভিচের প্রশংসা করতেই হয়। পুরো ম্যাচে তিন থেকে চারটা সেভের পর টাইব্রেকারে একটি সেভ। মড্রিচের সঙ্গে এই ম্যাচে তার প্রশংসাও না করে পারছি না।

আর আর্জেন্টিনার বিষয়টুকু হলো তাদের মধ্যে ইচ্ছাশক্তি ছিল তারা ফাইট করবে এবং জিতবে। ম্যাচের শুরু থেকেই তারা সেভাবেই খেলেছে। তবে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর তারা ভেবেছিল জিতে যাবে। এজন্য তাড়াতাড়ি প্লেয়ার বদল করা তাদের উচিত হয়নি। কেননা খেলা তখনো বাকি ছিল। শেষ দিকে এসে তারাও ব্রাজিলের মতোই খেলেছে কোনো আক্রমণ না করে। ফলে যা হওয়ার তাই। ২-২ এ সমতা। তবে এক্সট্রা টাইমে অন্য আর্জেন্টিনাকে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ইচ্ছাশক্তি ছিল যে তাদের জিততেই হবে। বেশ কয়েকটি আক্রমণও করেছে তারা। যদিও গোলের দেখা পায়নি। তবে পেনাল্টি শুটআউটে মেসিকে প্রথমে এনে ভালো করেছে। ব্রাজিল চাইলেও নেইমারকে আনতে পারত। আর মার্টিনেজের কথা বলতেই হবে। দুটি দুর্দান্ত সেভ দিয়ে আর্জেন্টিনার মনোবল সে বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য মেসির পাশাপাশি তার কথাও আর্জেন্টাইনরা মনে রাখবে। দেশের দর্শকরা এখন ব্রাজিলকে মিস করবে। প্রত্যাশা ছিল আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সেমিফাইনালে যাবে। ব্রাজিলের দর্শকরা হতাশ হলেও আর্জেন্টাইনার বেশ উজ্জীবিত। সৌদি আরবের কাছে হারের পর তারা যেরকম হতাশ ছিল তা কাটিয়ে উঠেছে। আশা করছি আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে এবং মেসির হাতেই শিরোপা প্রত্যাশা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App