×

রাজনীতি

সন্ত্রাস ও নাশকতা রুখতে ঢাবিতে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের আয়োজন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:২১ পিএম

সন্ত্রাস ও নাশকতা রুখতে ঢাবিতে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের আয়োজন

ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্রদলের আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতা রুখতে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ক্যাম্পাসের রাজু ভভাস্কর্যের পাদদেশে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ‌‌‘বিজয় মঞ্চ: সন্ত্রাস রুখতে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপম সাহার সঞ্চালনায় দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রতিবাদী গান, নৃত্য, আবৃত্তি, মঞ্চ নাটক, মাইম ও বিতর্কসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা চলে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দেয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যেকোন কুচক্রী মহলের অপপ্রয়াস রুখে দেয়ার চিন্তা থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এ বিষয়ে বিজয় মঞ্চের অন্যতম আয়োজক জয় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। বিজয়ের মাসে পরাজিত শক্তি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসের গ্রাস থেকে ক্যাম্পাসকে রক্ষা করতে আমাদের এই সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ বিজয় মঞ্চ।

এ বিষয়ে মাস্টার দা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, যারা ঢাবির শিক্ষার্থী না হয়েও ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নামে নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে তাদের কলিজায় ভয় ঢুকিয়ে দিতে আমরা দিনভর মাঠে অবস্থান করছি। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড আমরা সহ্য করব না। ছাত্রদল সবসময় আগুনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষাঙ্গনকে অনিরাপদ করার চেষ্টা চালিয়েছে। অতীতের মতো এখনো আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শক্ত অবস্থানে থেকে তাদের প্রতিহত করব।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজনীতির ভাষা হিসেবে হত্যাযজ্ঞ ও আগুনকে ব্যবহার করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।

বিএনপির নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধকে ‘প্রতিরোধের ভাষা’ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ উল্লেখ করে সাদ্দাম আরো বলেন, আমরা অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি তারা সংস্কৃতিরও শত্রু৷ আমরা যে উদার মানবিকতা, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি সব সময় তারা এটিকে আঘাত করার চেষ্টা করে৷ স্বৈরশাসক খুনী জিয়া বেয়নেটের মাধ্যমে সংবিধানকে বদলে দিয়েছে, রাজাকারদের তারা পুনর্বাসিত করেছে। এছাড়াও বহুদলীয় গণতন্ত্রের নাম করে সাম্প্রদায়িক অভিযোগে অভিযুক্তদের তারা রাজনীতিতে পুনরুদ্ধার করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির ভাষা হিসেবে বিএনপি-জামায়াত আগুনকে ব্যবহার করেছে। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে তারা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তাই এটা প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন যুগপৎভাবে করা উচিত। সেটার জন্যই আজকের এই আয়োজন।আমাদের লড়াইটি অব্যহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App