×

জাতীয়

বিএনপির ৭ এমপির পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

বিএনপির ৭ এমপির পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না

ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ৭ এমপির পদত্যাগে সংসদ অচল হবে না

শনিবার সাভারে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ভোরের কাগজ

# ভুলের অনুতাপ বিএনপিকে করতে হবে # দেখতে দেখতে ১৫ বছর, তারেক আসবে কোন বছর?

বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় সংসদ অচল হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংসদে আমাদের হিউজ ম্যাজুরিটি আছে। আমরা ছাড়াও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ২৩ জন আর চৌদ্দ দলের অন্যান্যদের ৮ জন সংসদ সদস্য আছেন। এখানেও আছে বিরোধী দল। আপনারা ৭ জন গেলে জাতীয় সংসদ অচল হয়ে পড়বে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এই ভুলের জন্য অনুতাপ বিএনপিকে করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা তাদের তাড়িয়ে দিইনি। তারা ২ জন মাত্র সংসদ সদস্য একজন মহিলা, আরেকজন পুরুষ তাদের চিৎকারে সংসদে মাইক লাগে না। বহু বলেছি, আর কত?

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর অদূরে সাভার রেডিও কলোনী স্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিবের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ প্রমূখ। শুরুতেই ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকায় আজ পাড়ায়-মহল্লায়, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে সমাবেশ হয়েছে। পুরো ঢাকা সিটি ছিল বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে। ওরা (বিএনপি) দাঁড়াতে পারেনি। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখে না কী সব উড়ে যাবে? বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চ বিএনপির ময়ুর সিংহাসন হয়ে যাবে। হায়রে ক্ষমতা! ১০ তারিখ তো চলে গেলো। দিন গড়িয়ে সূর্যাস্ত...... সন্ধ্যা হয়ে গেল। কইরে, কোথায় ময়ুর সিংহাসন, খালেদা জিয়াকে এনে ক্ষমতা দখল করাবেন? উনি যেখানে ছিলেন, সেখানেই আছেন। এয়ারপোর্ট না কী প্রস্তুত। তারেক রহমান আসবে। ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে রাতের অন্ধকারে তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে আর রাজনীতি করব না এ কথা বলে পাড়ি দিলেন লন্ডনে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর। তারেক রহমান তাহলে আসবেন কোন বছর?

কাদের বলেন, বিএনপির টাকার উৎস নিয়ে ফের কাদের বলেন, কোথা থেকে আসে এত টাকা। কোন ব্যাবসায়ী, কোন শিল্পপতি কত টাকা দিয়েছেন- খবর আমরা জানি। সময়মতো জবাব দিতে হবে। সময় আসছে কোন শিল্পপতি, কোন ব্যাবসায়ী টাকা দিয়ে ওদের পিকনিক করাচ্ছেন। খিচুরী পার্টি। হিসাব হবে? তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে টাকা, স্যুইস ব্যাংকে টাকা, দেশে দেশে বিলাসবহুল মার্কেট। খবর নেয়া হচ্ছে। কোথা থেকে টাকা আসে ফখরুলের কাছে। নয়াপল্টনের অফিস। ১০ তারিখে সমাবেশ। অনুমতি পায়নি। তার আগেই তারা সেখানে প্রস্তুতি নিয়েছে। পুলিশ তল্লাশী করে ১৬০ বস্তা চাল, হান্ডি-পাতিল, মশারী, বিছানা, মশার কয়েল সব নিয়ে পিকনিক পাটি শুরু করেছে। নয়াপল্টনকে ঘিরে পিকনিক পাটি, বনভোজন যাকে বলে বিভিন্ন বিভাগের সমাবেশেও তারা এই কাজটা করেছে। কোথা থেকে আসে টাকা। ফখরুল সাহেবের। পুলিশের ওপর হামলা। পুলিশ কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবে? পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ দাঁড়িয়ে কি চুপ করে থাকবে? আত্মরক্ষা তাদেরও করতে হবে।

কাদের বলেন, পল্টনে গেলেন না? অর্ধেক পরাজয় হয়ে গেছে। এখন লবিস্ট নিয়োগ করছে। কিছুদিন আগে র‌্যাবের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বেরিয়ে গেছে, ফাঁস হয়ে গেছে। তারেকের আর কত টাকা আছে? লবিস্ট নিয়োগ করে আজকে সে বাংলাদেশ বিরোধী প্রপাগান্ডা সে করছে। তিনি বলেন, সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে খবর আসে গুড নিউজ ফর বাংলাদেশ, ব্যাড নিউজ ফর পলিটিক্স......ষড়ন্ত্রকারীদের জন্য খারাপ খবর। এই খবর আজকে ভোরবেলায়ই পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ৯ টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই ৯ দেশের ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আছে। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ নেই। নিশেধাজ্ঞা দিয়ে লাভ নেই। আমরাও নিষেধাজ্ঞা দিতে জানি। আমরা কারো ব্যাপারে নাক গলাই না। আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামান কেন? আমার মনে হয় বিদেশী বন্ধুরা এখন অনেকটাই বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। আরো বুঝবে?

খেলা হবে স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই স্লোগানটা কি আপনাদের পছন্দ না? হাত তুলেন তো সবাই। উপস্থিত সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান। এরপর কাদের বলেন, যারা বলেন, আমার মুখে এই স্লোগান মানায় না। অনেকেই বিরুদ্ধে বলছেন। বলছেন, এই স্লোগান তার মুখে মানায় না’ আমার নাম বলে। এইটা না কী মার্জিত ভাষা না। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, পশ্চিমবঙ্গে লাস্ট ইলেকশনে নরেন্দ্র মোদী, মমতা ব্যানার্জী একটা স্লোগানই দিয়ে গেলেন- খেলা হবে। তো তাদের মুখে কী বেমানান? আমি, বলছি জনগন যেটা চায়, আমি সেই স্লোগান দেব। কে কি মনে করল- তাতে আমার কিছু আসে যায় না। খেলা হবে। এই ডিসেম্বরে খেলা হবে।

কাদের বলেন, বিজয়ের মাস বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়। এই বিজয়ের দেশে বিজয়ের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ ঐ স্বাধীনতাবিরোধী ঐ রাজাকার, আলবদরদের বিশ্বস্ত ঠিকানা- বিএনপি জয়ী হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধই এখানে বিজয়ী হবে। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিজয়ী হবে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি পরাজিত হবে। আর তাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি-ই পরাজিত হবে। আমরা আন্দোলনেও জিতব। তোমাদের পরাজিত করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App