×

জাতীয়

বিএনপির ১০ দফা, যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:২৫ এএম

২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে গণমিছিলের কর্মসূচি আসবে, লিয়াজোঁ কমিটি হবে

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠেয় বিএনপির সমাবেশে মূল আকর্ষণ আন্দোলনের ১০ দফা। এই সমাবেশকে নিকটঅতীতের ঐতিহাসিক সমাবেশে রূপ দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে দলটি।

বিএনপি নেতারা বলছেন, এই সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপির একক আন্দোলনের বড় কর্মসূচি শেষ হতে যাচ্ছে। এখন আগামী সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে সরকারবিরোধী সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু করবে বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি আগামী দিনের গণআন্দোলনের ১০ দফা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করবেন। তবে, কর্মসূচির ধরন এখনই প্রকাশ করতে নারাজ বিএনপি নেতারা।

আন্দোলনের ১০ দফা রূপরেখা: ১. সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারকে পদত্যাগে করতে হবে। ২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানের সংযোগিত ধারা ৫৮ (খ), (গ) ও (ঘ) এর ভিত্তিতে দল নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। ৩. ওই সরকার সবার গ্রহণযোগ্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং পরে ওই নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার পর আরপিও সংশোধন, ইভিএমন পদ্ধতি বাতিল ও ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করবে ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করতে হবে। ৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও আলেমদের (ধর্মবেত্তা) সাজা বাতিল, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সব রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সভা ও মত প্রকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার লকেষ্য নতুন মামলা ও বিরোধীদলীয় দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। ৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন, ২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ২৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালা-কানুন বাতিল করতে হবে। ৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সার ও পানিসহ জনসেবা খাতসমূতে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে, বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করতেহবে। মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্যমজুরি নিশ্চিত, শিশুশ্রম বন্ধ করা ও কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। ৮. গত ১৫ বছর বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাত ও শেয়ারবাজারসহ রাষ্ট্রীয় সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। ৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিকদের উদ্ধার করতে হবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার আইনানুগ বিচারে ব্যবস্থা করে শাস্তি নিশ্চিত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপসানালয় ভাঙচুর ও সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ১০. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বে সঙ্গে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App